৮ দাবিতে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে অবস্থান কর্মসূচি কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের
ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের স্বতন্ত্র পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগসহ ৮ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১টার পরে তারা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মূল ফটকের সামনে কৃষি ডিপ্লোমা ছাত্র অধিকার আন্দোলনে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে বেলা দুইটার দিকে মূলফটক ছেড়ে দেন আন্দোলকারীরা। এসময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কে দ্বিতীয় শ্রেনীর কর্মচারী হিসেবে গেজেট করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে এবং প্রতিবছর নিয়োগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষক সংকট দূরীকরণ করতে হবে, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষাকে ডি.এ.ই এর অধিনস্থ থেকে বের করে সম্পূর্ণভাবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আলাদা প্রতিষ্ঠান করতে হবে, সকল কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে সহকারি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদটি শুধুমাত্র ডিপ্লোমা কৃষিবিদ দের জন্য সংরক্ষিত করতে হবে, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ দের বেসরকারী চাকুরীর ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১০ম গ্রেডের পে-স্কেলে বেতন দিতে হবে, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের কে মাঠ সংযুক্তি ভাতা প্রদান করতে হবে এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের চাকুরীতে প্রবেশের পর ৬ মাসের ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: জকসু নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বরই হবে: জবি উপাচার্য
আন্দোলনে অংগ্রহণ করা শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হচ্ছে কৃষি ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করার পর সরকারিভাবে উচ্চ শিক্ষার কোন সুযোগ নেই।
আমাদের যৌক্তিক দাবিসমূহ উচ্চ মহলে অনেকবার উপস্থাপন করা হয়েছে, কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আজ আমরা অবস্থান নিয়েছি বোর্ডের সামনে। কৃষি ডিপ্লোমার শিক্ষার্থীরা এ সমস্যা জর্জরিত শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে মুক্তি চায় এবং আমরা আমাদের শিক্ষাজীবন অন্ধকারে ঠেলে না দিয়ে দিন বদলের স্লোগান নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি জানান, তাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় নানা ধরনের বৈষম্য রয়েছে। কোর্স সম্পন্ন করার জন্য বিষয়ভিত্তিক স্থায়ী কোন শিক্ষক নেই। ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য পর্যাপ্ত ল্যাব ও সরজ্ঞামাদির ঘাটতি রয়েছে। তাদের দাবি, অতিদ্রুত তাদের সমস্যা সমধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। জন্য প্রতি বছর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গুলোতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে।