১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৫

ওয়েবক্যামে নিজের তথ্য ও ছবি-ভিডিও ফাঁসের ঝুঁকি এড়াতে যা করবেন

ওয়েবক্যাম  © সংগৃহীত

বর্তমানে সহজে ভিডিও কল, অনলাইন মিটিং ও লাইভ স্ট্রিমিং- এর জন্য ডেস্কটপ পিসি, ল্যাপটপ, ট্যাব বা স্মার্টফোনে ওয়েবক্যামের ব্যবহার সর্বোপরি বাড়ছে। আমাদের সবাই কম-বেশি এর সঙ্গে পরিচিত। প্রয়োজনের তাগিদে এটি ব্যবহারের গুরুত্বও অনেকাংশে বেড়েছে এবং সবার কাছেই বেশ জনপ্রিয়। অনেক সংস্থা এখনও অনলাইনে বা হাইব্রিড মোডে কাজ করছে। তবে এটি সঠিকভাবে সুরক্ষিত না রাখলে, রয়েছে বিপদের শঙ্কা।

সাইবার অপরাধীরা নজরদারি চালিয়ে ম্যালওয়্যার পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতে পারে। অনেকে প্রায়শই ওয়েবক্যাম চালু রেখেই কাজ করেন। অথবা যখন কাজ করছেন না, তখনও ওয়েবক্যাম চালু থাকে। কিন্তু এমনটা মোটেও করা উচিত নয়। সুরক্ষা পেতে মেনে চলতে হবে কিছু পরামর্শ আর কৌশল।

সহজেই কোনো অ্যাপ-কে এক্সেস না দেওয়া: কোনো অ্যাপ ইনস্টল করার সময়ে লক্ষ্য রাখতে হবে, সেখানে কোন কোন সফ্‌টওয়্যার ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। অ্যাপ ইনস্টলের ক্ষেত্রেও ওয়েবক্যাম ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া ওয়েবক্যাম ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়াই উত্তম। 

ওয়েবক্যামে কাভার ব্যবহার: যে সময়ে ওয়েবক্যাম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই, সেই সময়ে ক্যামেরার লেন্স কভার বা টেপ দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। প্রয়োজন অনুসারে সেটা খুলে ব্যবহার করে আবার ঢেকে রাখতে হবে। বিভিন্ন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরাও ওয়েব ক্যামের গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে ক্যামেরার লেন্স ঢেকে রাখার পরামর্শ দেন। এক্সটার্নাল ওয়েবক্যাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা আরও সহজ। অথবা ডিভাইসের সেটিংস থেকেও ক্যামেরা এক্সেস ডিজঅ্যাবল করে রাখা যেতে পারে। 

নিয়মিত স্ক্যান করা: ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ট্যাব বা কম্পিউটারে ওয়েবক্যাম সংক্রান্ত স্পাইওয়্যার বা ম্যালওয়্যার আছে কি না, তা জানতে নিয়মিত স্ক্যান করতে হবে। অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের সঙ্গে অ্যান্টিস্পাইওয়্যার সফ্‌টওয়্যার ইনস্টল করতে হবে। তাহলে ম্যালিশাস লিংক আগেই শনাক্ত করা যাবে। সেই সঙ্গে স্ক্যানে যদি কিছু ধরা পড়ে, সেটি সাথে সাথেই ডিলিট করে ফেলতে হবে।

আরও পড়ুন: দেশে এআইয়ের ব্যবহার বেড়েছে ৮ শতাংশ, বেশি অনলাইন শিক্ষায়

অপরিচিত কোনো লিংক ওপেন না করা: অজানা কোনও লিংক বা ফাইল ডাউনলোড করার অপশন এলে, তা এড়িয়ে যাওয়া উত্তম। অপরিচিত বা সন্দেহজনক অ্যাটাচমেন্টও কখনোই ডাউনলোড বা ক্লিক করা যাবে না। অনেক সময়ে এতে ট্রোজান হর্স ম্যালওয়্যার ফাইল থাকতে পারে, যা ওয়েবক্যামের দখল নিতে পারে মুহূর্তেই। এমন কোনও লিংক ওপেন করা যাবে না, যেখানে ‘ইউআরএল’-এ নানা রকম চিহ্ন আছে। সেগুলি ভুয়ো হওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকে।

ডিভাইস নিয়মিত আপডেট করা: নিয়ম করে ডিভাইসের যাবতীয় সব সফ্‌টওয়্যার ও ওপারেটিং সিস্টেম আপডেট করতে হবে। কারণ তার সঙ্গে সিকিউরিটি ফিচারসও আপডেট হয়। সেই সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে, ডিভাইসে একা একাই কোনো সফটও্যার ইন্সটল হচ্ছে কি না। পাশাপাশি ওয়েবক্যাম ব্যবহারের সময়ে পজিশনিং, ফ্রেমিং, সেটিংসে কোনো অস্বাভাবিকত্ব রয়েছে কিনা সেটি খেয়াল রাখতে হবে। কারণ অনেক সময়ে জালিয়াত চক্র ওয়েবক্যাম হ্যাক করে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রেমিং, জুমিং- এসব বদল নিতে পারে।