১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:৫১

কর্মসূচি পালন নিয়ে ‘ভুল বোঝাবুঝিতে’ দুঃখ প্রকাশ প্রাথমিক শিক্ষক নেতাদের

প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ  © টিডিসি সম্পাদিত

কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সরকার ও সচেতন নাগরিক সমাজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। পাশাপাশি দশম গ্রেড দেওয়াসহ তিন দাবি আদায়ে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। 

প্রাথমিক শিক্ষক নেতা মো. আবুল কাসেম, মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ, খায়রুন নাহার লিপি এবং মু. মাহবুবর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুঃখ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ৮ নভেম্বর শাহবাগে কলম সমর্পন কর্মসূচিতে পুলিশের বর্বরোচিত, নির্মম জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড হামলায় শতাধিক শিক্ষক শিক্ষিকা আহত হন। হামলায় আহত হয়ে ফাতেমা নামের এক শিক্ষিকা মৃত্যুবরণ করেন। 

সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবির কর্মসূচি পালনের একপর্যায়ে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যস্থতায় গত ১০ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা হয়। এতে সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড থেকে ১১তম গ্রেড প্রদানের বিষয়ে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্ৰদান করা হয়েছিল। 

এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা গত ১০ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি দ্রুত বাস্তবায়নে কর্মসূচি পালন করে আসছেন জানিয়ে তারা বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকবৃন্দ চেয়েছিল, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে তাদের সরকার কর্তৃক প্রতিশ্রুত দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি। 

আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ধাওয়া খেয়ে পালালেন ঢাবি অধ্যাপক আ ক ম জামাল

বৈষম্যবিরোধী অন্তর্বর্তী সরকার যে আশ্বাস দিয়েছিল, তা বিশ্বাস করেছিলেন উল্লেখ করে শিক্ষকরা বলেন, সর্বশেষ দাবি বাস্তবায়নে কর্মসূচি পালন করার জন্য শাস্তিস্বরুপ ৪৩ জন শিক্ষককে বিধিবহির্ভূত প্রশাসনিক বদলি দিয়ে সরকারের দেয়া আশ্বাসের বাণী দীর্ঘশ্বাসে পরিণত হয়েছে। সহকারী শিক্ষকবৃন্দ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে সামনের দিনগুলোতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের মতো পবিত্র দায়িত্বে মনোনিবেশ করা দূরহ হয়ে পড়েছে যা প্রাথমিক শিক্ষার জন্য অশনিসংকেত। 

প্রাথমিক শিক্ষাকে আধুনিক ও যুগপোযোগী করার লক্ষ্যে বৈশ্বিক নাগরিক গড়ে তুলতে সর্বদা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ উল্লেখ করে শিক্ষক নেতারা বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুত ও দাবির বাস্তবায়নে রাষ্ট্রের সচেতন সব নাগরিকের সমর্থন কামনা করেন তারা। পাশাপাশি কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সরকার এবং সচেতন নাগরিক সমাজের সঙ্গে যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক নেতারা।