বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা বললেন শিক্ষা উপদেষ্টা

ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ  © ফাইল ছবি

শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘বেসরকারি স্কুল ও কলেজের পরিচালনা বোর্ডের অপরাজনীতির ফলে নিয়োগ বাণিজ্যের কথা শোনা যেত। সকল নিয়োগ ব্যবস্থায় নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে।  বেসরকারি এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের কেন্দ্রীয়ভাবে যোগ্যতা নির্ধারণ করে পদায়নের কারণে শিক্ষকরা পরিবার ছেড়ে দূর দূরান্তে গিয়ে চাকরি করছে। তারা নিদারুণ দুর্দশা নিয়ে জীবন যাপন করে। মর্মান্তিক এ বিষয়গুলো একেবারে সমাধান করা সম্ভব নয়। আংশিক সমাধানের চিন্তা করা যায়।’

শনিবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ব শিক্ষক উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের প্রধান ড. সুসান ভাইজ।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আজকের বিশ্ব শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান শুধু শিক্ষকদের সম্মান দেওয়ার জন্য। আমি শিক্ষকদের শ্রদ্ধাভরে সম্মান জানাই। আমি আগ্রহ করে সেচ্ছায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছি, আমাকে কেউ চাপিয়ে দেয়নি। আমি সারা জীবন শিক্ষকতা করেছি তাই ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। স্কুল-কলেজের অনেক বড় বড় দাবি দাওয়া আমার কাছে এসেছে। আমি তাৎক্ষণিক এগুলোর সমাধান দিতে পারিনি বলে নিজেকে অপরাধী মনে হয়। নিজেকে ছোট মনে হয়। এদেশের শিক্ষকরা বিশেষ করে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের শিক্ষকগণ আমাদের সমতুল্য কেন দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত  ও উপেক্ষিত।  স্বল্প আয় দিয়ে সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকাই শিক্ষকদের জন্য দুঃসাধ্য। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষকতা পেশায় মনোযোগ দিবেন কি করে।

তিনি বলেন, শিক্ষকদের একটি জবাবদিহিতার ও দায়িত্বজ্ঞানের বিষয় রয়েছে। শিক্ষকের কিছু নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে যা নিজ থেকে করা যায়। ছাত্রছাত্রীরা ঠিকমতো স্কুলে আসলো কিনা? তাদের কোন সমস্যা রয়েছে কিনা? বিষয়গুলো শিক্ষকদের দেখা। ছাত্রছাত্রীদের সাথে শিক্ষকদের দরদ দিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করলে অনেক কিছুই সহজ ও সুন্দর হয়। 

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা সরকারি রাজস্ব আয় আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের নিন্মতম পর্যায়ে রয়েছে। যে কারণে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা যথাযথভাবে হচ্ছে না। সরকারি ব্যয়ে দুর্নীতি হ্রাস করতে পারলে এসব ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ানো সম্ভব। এটা একদিনে হবে না কিন্তু আমরা শুরু করেছি।


সর্বশেষ সংবাদ