চবির ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে

ঘোষণা শিক্ষক সমিতির

  © টিডিসি ফটো

বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের ‘বিশেষ ক্ষমতা’ বলে শিক্ষক নিয়োগের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি এখন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। আজ রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) দিনভর নাটকীয়তার পর এমন পরিস্থিতিতে সন্ধ্যায় তৎক্ষণাৎ সংবাদ সম্মেলন করে চবি শিক্ষক সমিতি।  

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেছেন, চবি উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও নৈতিকতা চরমভাবে লঙ্ঘন করেছেন। তাই উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে কে পদত্যাগ করতে হবে।

এদিন দুপুর ১২টায় উপাচার্যের কক্ষে আইন ও বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের নির্বাচনী বোর্ড (নিয়োগ বোর্ড) বাতিলের দাবিতে উপাচার্যকে চিঠি দেয় চবি শিক্ষক সমিতি। পরে উপাচার্যের সাথে দেখা করতে যায় শিক্ষক প্রতিনিধিবৃন্দ। তবে উপাচার্য সময় চেয়ে শেষপর্যন্ত আর দেখা করেননি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে। পরে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষক সমিতি। এসময় উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে বাকবিতণ্ডাও হয়। এমতাবস্থায় আইন বিভাগের নির্বাচনী বোর্ড অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা  হয়নি। 

শিক্ষক নিয়োগের বোর্ড আয়োজনে উপাচার্যের এমন কর্মকাণ্ডকে লুকোচুরি আখ্যায়িত করে শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলেন, এই প্রশাসন চরম দুর্নীতিগ্রস্ত। তারা অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের আয়োজন করেছে। তাছাড়া আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে বিভাগীয় প্লানিং কমিটিকে পাস কাটিয়ে উপাচার্য নিজে আর্থিক লাভবান হওয়ার আশায় এমন অবৈধ বোর্ডের আয়োজন করেছেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকগণ এই উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ চাই।

চবি উপাচার্যের পদত্যাগ সম্পর্কে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন পরিস্থিতিতে আমরা সাধারণ শিক্ষকদের একটাই দাবি উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে পদত্যাগ করতেই হবে। তাদের পদত্যাগের দাবিতে আগামীকাল আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো। বিশ্ববিদ্যালয়কে এই প্রশাসন চরম অবনতির দিকে নিয়ে গেছে। এই প্রশাসনের অর্থাৎ উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ করা অবধি আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ