দোকান ঝাড়ু, চানাচুর বিক্রি, ঘড়ির মেকারি— সবই করেছেন ক্যাডার জমিন

নাটোর রাণী ভবানী সরকারি মহিলা কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক পদে কর্মরত আছেন মো. জমিন উদ্দিন
নাটোর রাণী ভবানী সরকারি মহিলা কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক পদে কর্মরত আছেন মো. জমিন উদ্দিন  © টিডিসি ফটো

নাটোর রাণী ভবানী সরকারি মহিলা কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক পদে কর্মরত আছেন মো. জমিন উদ্দিন। তিনি ৩৮তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার। এ ছাড়া তিনি ৪০তম বিসিএস বোথ ক্যাডারে ভাইভা প্রার্থী হিসেবে অপেক্ষমান এবং ৪১তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার্থী। তার বিসিএস জয়, ভবিষ্যৎ স্বপ্ন ও সফলতা সম্পর্কে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে কথা বলেছেন। তার কথাগুলো শুনেছেন মো. আবদুর রহমান—

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার ছোটবেলা কেমন কেটেছে?
জমিন উদ্দিন: ছোটবেলার অভিজ্ঞতা আমাকে আজ এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। মহান আল্লাহ তায়ালার লাখো শুকরিয়া আলহামদুলিল্লাহ। নিঃসন্দেহে দুর্বিষহ দুঃখ-কষ্ট, অভাব অনটন, হতাশা লাঞ্ছনা-বঞ্জনার মধ্যেদিয়ে আমার বাল্যকাল অতিবাহিত হয়েছে।

আমার বাবার বয়স এখন প্রায় একশ বছর। তিনি দিনমজুর ছিলেন।বয়সের ভারে শেষ জীবনে কোনো কাজ করতে পারতো না। যার ফলে আমি নিজেই গ্রামের স্কুলের পাশেই চায়ের দোকানদারি করতাম। হাটে হাটে চা-চানাচুর, বাদাম, পাপড়, পিয়াজি এসব বিক্রি করতাম। এমনো দিন গেছে বৃষ্টির জন্য কিংবা স্কুল বন্ধের দিনে কোনো বেচাকেনা হয়নি।

বৃদ্ধ মা বাবাকে নিয়ে টোস্ট বিস্কুট পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি। আবার সকালে না খেয়েই দিন অতিবাহিত করেছি। চা বিক্রির সময় চিনি কম হলে কিংবা বাকি টাকা চাইলে মানুষজন গলাধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলেও দিয়েছে। তবে শত কষ্টের মাঝেও সময় পেলেই বন্ধুদের সাথে ফুটবল, ক্রিকেট খেলা, গ্রীষ্মকালে আম কুড়ানো, বর্ষাকালে মাঠে মাছ ধরা সবই করেছি। ওই সময়গুলো বেশ স্মৃতিময়, সুখের এবং আনন্দের ছিল।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: পড়াশোনায় কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল কি?
জমিন উদ্দিন: জীবনের শুরুটাই প্রতিবন্ধকতা দিয়ে। পঞ্চম শ্রেণী পাশ করার পর আমাকে শহরের একটা দোকানে কাজে লাগার কথা বলা হয়। এতো অভাবের মধ্যে কিভাবে পড়াশোনা করবো? তবুও মনটা যেন বারবার স্কুলে যেতে চায়। সবাই সিক্সে ভর্তি হয়ে গেলো কেবল আমিই বাকি ছিলাম।

মায়ের কাছে কান্না করলাম। আমি স্কুলে ভর্তি হবো। মা শুধু অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতো আর অঝোরে অশ্রু বিসর্জন দিতো। আমি তো নাছোড় বান্দা। শেষ পর্যন্ত আমার মা আমাকে নিয়ে গ্রামের স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলেন। আমার মা প্রধান শিক্ষককে করোজোড়ে অনুরোধ করলেন আমাকে স্কুলে ভর্তি করার জন্য। কিন্তু প্রধান শিক্ষক বিনা টাকায় ভর্তি এবং বিনা বেতনে পড়াশোনা করার সুযোগ দিতে চাইলেন না। বরং আমাকে কোনো কাজ করে সংসারের খরচ চালানোর পরামর্শ দিলেন।

আমার মা ও আমি অঝোরে কান্না করলাম। আমরা শূন্য হাতে ফিরে আসলাম। আমি আবারও মাকে বললাম, ‘মা আমি স্কুলে যাবো। ওরা সবাই স্কুলে ভর্তি হয়েছে। দেখো ওরা স্কুলে যাচ্ছে।’ আমার মা আবারও প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে বিনীত অনুরোধ করলেন। কিন্তু নির্মম পরিহাস আবারও আমার মা অশ্রুবন্যা সাথে নিয়ে ফিরে আসলেন।

কিছু দিন কেটে গেলো। স্কুল ছুটি হলে সবাই যখন বাড়ির সামনে রাস্তা দিয়ে যেতো আমার বুকটা ফেটে যেতো। দৌঁড়ে এসে মাকে কেঁদে কেঁদে বলতাম আমি স্কুলে ভর্তি হবো। মা তৃতীয়বারের মতো আবারও আমাকে নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে নিয়ে গেলেন। আমার মা স্যারের হাত ধরে আমাকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য বারবার অনুরোধ করলেন। অবশেষে পাথর গলেছে।

স্যার আমাকে বললেন, ‘যা আজ থেকে তুই স্কুলে আসবি। ভালো করে পড়বি কিন্তু কোনো টাকা পয়সা তোকে দিতে হবে না। শুধু পরীক্ষার ফি দিবি।

আপনাদের বলে বুঝাতে পারবো না ওই দিনটা আমার কাছে শ্রেষ্ঠ খুশির দিন ছিলো। অনেক অনেক অনেক খুশি হয়েছিলাম। খুশিতে অনেক কেঁদেছিলাম। আমি অত্যন্ত শ্রদ্ধা ভরে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করতে চাই এই মহান প্রধান শিক্ষককে। ওই দিন আমার পড়নে ছিলো একটা ছেড়া হাফ প্যান্ট (দড়ি দিয়ে কোমড়ে বাধা), ছেঁড়া শার্ট (বোতামবিহীন),পায়ে কোনো জুতা স্যান্ডেল ছিলো না। এভাবেই জীবনের যাত্রা শুরু হলো। স্কুলে চায়ের দোকানদারি করতাম আর পড়াশোনা করতাম। ক্লাস তেমন করা হতো না। কোনোদিন প্রাইভেট পড়ার সুযোগ ও সামর্থ্য ছিল না।

একদিন স্কুলের এক শিক্ষকের কাছে গণিত পড়তে গেলে সবার সামনে আমাকে চলে যেতে বলেছিলো। কারণ আমি স্যারকে বলেছিলাম আমি টিউশন ফি দিতে পারবো না। তারপর থেকে প্রতিজ্ঞা করি আর কোনো দিন প্রাইভেট পড়ব না। এতো কিছুর পড়েও স্কুলের সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে জিপিএ ৪.৭৫ গ্রেড নিয়ে ২০০৬ সালে এসএসসি পাশ করি।

তারপর ঈশ্বরদী শহরের মডার্ন ইলেকট্রনিকে মাসিক ১৫০ টাকা বেতনে কাজ শুরু করি। দোকান ঝাড়ু দেয়া, পানি আনা, বাজার করা, দোকান মালিকের বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া আসা, ঘড়ির মেকারি করা এসবই ছিল আমার কাজ। শহরের ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে ইন্টার মিডিয়েট ভর্তি হই। প্রতিদিন সকালে না খেয়ে বাজার করা ব্যাগে বই নিয়ে সাইকেলে করে দোকানে যেতাম। অপেক্ষায় থাকতাম কখন দুপুর হবে আর কখন পেট ভরে দোকান মালিকের বাসায় গরম ভাত খাবো।

বিশ্বাস করেন ওই ভাতের স্বাদ আমি জীবনে ভুলবো না। কলেজে মাঝে মাঝে যেতাম। আলহামদুলিল্লাহ ২০০৮ সালে জিপিএ ৫.০০ নিয়ে অত্র কলেজের কমার্স থেকে প্রথমবারের মতো A+ পেলাম (উল্লেখ্য ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত)। কলেজ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল আমাকে। অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম। সরকারিভাবে স্কলারশিপ পেয়েছিলাম।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার বিসিএস যাত্রার গল্প শুনতে চাই?
জমিন উদ্দিন: বিসিএস কাকে বলে স্নাতক শেষ করার পরও জানতাম না। ইন্টার পাশের পর সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ পাবনায় (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি হই। তখনো ওই দোকানে কাজ করতাম। তখন বেতন বেড়ে মাসিক ৩০০ টাকা হয়েছিল। আর দুপুরের স্বর্গীয় খাবার!

পাশাপাশি সকাল বিকেল টিউশনি করাতাম। কখনো কলেজে গিয়ে ক্লাস করার সুযোগ হয় নাই। আমি ছাত্র ছিলাম কিন্তু আমার কোনো ছাত্রত্ব ছিলো না। ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সাথে কোনোদিন আড্ডা দেওয়ার স্মৃতি নেই। just believe me, জীবনে একদিনের জন্যেও অনার্স ও মাস্টার্স লাইফে ক্লাস করি নাই। not a single day শুধু পরীক্ষার সময় পরীক্ষা দিতাম। এভাবেই হিসাববিজ্ঞান বিভাগ থেকে ফার্স্ট ক্লাস পেয়েও ৬০ মার্ক লিড রেখেছিলাম। উল্লেখ্য আমাদের ব্যাচটি ছিলো ডিভিশনের শেষ ব্যাচ। আমাদের পরের ব্যাচ থেকে সিজিপিএ চালু হয়েছে। তারপর এক বন্ধুর পরামর্শে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন এমবিএ কোর্সে ভর্তি হই।

সেখানে কানিজ সুবর্ণা নামের এক মহান ব্যক্তির সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়। আমি যখন প্রথম দুই সেমিস্টারে ডিপার্টমেন্টে highest score করলাম তখন সুবর্না আমাকে বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে। কিন্তু আমি তাকে বলি এতো মেধা আমার নেই। তাছাড়া বিসিএস দিতে অনেক সময় লাগে। এতো সময় আমি নিজ খরচে চলতে পারবো না।

উল্লেখ্য বিসিএস সম্পর্কে প্রথম ধারণা বন্ধু কানিজের কাছ থেকেই পেয়েছিলাম। তারপর ও আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছিলো। আর্থিক, মানসিক সবভাবেই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে ছিলো। কানিজের জন্য অনেক শুভকামনা, শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা। বর্তমানে কানিজ সুবর্ণা নিউইয়র্কে অবস্থান করছে। উল্লেখ্য বিসিএস ভাইভার ড্রেস বানানোর টাকা বন্ধু কানিজ সুবর্ণাই পাঠিয়েছিলো।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার অনেক সংগ্রামী জীবন ছিল। প্রিলি শেষ করার পর লিখিত পরীক্ষার জন্য ক্যাডার প্রত্যাশীদের পড়ালেখার পরিকল্পনা কেমন হওয়া উচিত?
জমিন উদ্দিন: একেকজন একেকরকম পরিকল্পনা করে থাকে। তবে পরিকল্পনা যেভাবেই করা হোক না কেনো সেটা যদি দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে সময় ফাঁকি না দিয়ে আত্নবিশ্বাসের সাথে যদি হয়ে থাকে; তবে সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ। কিন্তু লিখিত প্রার্থীকে অবশ্যই ইংরেজিতে সর্বোচ্চ ভালো করার একটা পরিকল্পনা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ক্যাডার পেতে হলে তাকে ইংরেজির পাশাপাশি গণিত ও বিজ্ঞানে ভালো মার্ক তুলতে হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি নিয়ে আপনার পরামর্শ কি?
জমিন উদ্দিন:
* প্রথমেই একজন লিখিত প্রার্থীকে সময় সচেতন হতে হবে।
* হাতের লেখা পরিস্কার হতে হবে।
* দ্রুত লেখার অভ্যাস করতে হবে।
* ইংরেজির জন্য ফ্রি হ্যান্ড লেখার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
* গণিতের জন্য নবম দশম শ্রেণীর সাধারণ ও উচ্চতর গণিত ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে।
* সংবিধান ও বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের ওপর পূর্ণ ধারনা রাখতে হবে।
* নিয়মিত পেপাড় পড়তে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নোট করতে হবে।
* বিভিন্ন উৎস থেকে ডেটা কালেকশন করতে হবে।
* মানচিত্র সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে।
* বাংলাদেশের মানচিত্র অবশ্যই আঁকতে শিখতে হবে।
* খারাপ অভ্যাস ও খারাপ সঙ্গ পরিহার করতে হবে।
* মুসলমান হলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসনে চলতে হবে।
* সর্বোপরি অসীম ধৈর্যের অধিকারী হতে হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: পরীক্ষার্থীরা লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রে কোন কোন বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব দেবে?
জমিন উদ্দিন:
* নিজের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ঠিকমতো লেখা ও বৃত্ত ভরাট হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করবে।
* নাম ও কেন্দ্রের নাম, পরীক্ষার কোড এগুলো যেনো ভুল না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে।
* খাতায় পেন্সিল দিয়ে সোজা করে মার্জিন টানবে।
* প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় গুরুত্বপূর্ণ অংশে প্রয়োজনে নীল কালি ব্যাবহার করবে।
* প্রশ্নের ধারাবাহিকতা রক্ষার চেষ্টা করতে হবে।
* প্রতিটা সম নাম্বারের প্রশ্নের উত্তরের আকার যেনো একই রকম হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
* অতিরিক্ত পেজ নিলে তার নাম্বার মূল খাতায় উঠাতে হবে।
* সম্ভব হলে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর লেখার পর সমাপ্তি চিহ্ন ব্যাবহার করতে পারেন। ইত্যাদি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
জমিন উদ্দিন: একজন সৎ মানুষ হিসেবে নিজেকে দেশের ও দেশের জনগণের জন্য তৈরি করা। নৈতিকতা ও মূল্যবোধ চর্চার জন্য শিশুদের জন্য নৈতিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সাম্প্রতিক করোনা দূর্যোগে আপনার ভূমিকা কি?
জমিন উদ্দিন: আমি ক্ষুদ্র একজন মানুষ। করোনা মহামারীর ভয়াবহ থাবায় আমার দেশের দরিদ্র মানুষগুলো অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত করছে। আমি আমার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছি।

৩৮তম বিসিএস ক্যাডার পরিবার নাটোর জেলার পক্ষ থেকে প্রায় শতাধিক মানুষের মাঝে পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে খাদ্য সামগ্রী উপহার হিসেবে পাঠিয়েছি। ৩৮তম বিসিএস পরিবারের পক্ষে সারাদেশে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি।

করোনা প্রতিরোধে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করেছি। নিজ খরচে প্রায় ৫০টিরও বেশি পরিবারে খাদ্য ও বস্ত্র সামগ্রী উপহার দিয়েছি। গ্রামে ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্যাম্পেইন করেছি। করোনা আক্রান্ত রোগীদের মানসিক ভাবে উৎসাহ দিতে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
জমিন উদ্দিন: দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের জন্য শুভ কামনা রইল। ধন্যবাদ।


সর্বশেষ সংবাদ