প্রথম বিসিএসেই শিক্ষা ক্যাডারে চতুর্থ ঢাবির জোবাইর
৪৩তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ জোবাইর আহমদ। এটা ছিল জোবাইরের প্রথম বিসিএস। প্রথম বিসিএসেই দারুণ সাফল্য পেলেন তিনি। ৪৩তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে তার অবস্থান ৪র্থ। নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়নে তিনি তার এ সুযোগকে কাজে লাগাতে চান।
৪৩তম বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে মোট ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে এই চূড়ান্ত সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়।
জোবাইরের বাড়ি কুমিল্লার লাকসামে। তারা পাঁচ ভাই-বোন। তবে তিনি তার বাবার একমাত্র ছেলে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। এটা তার প্রথম বিসিএস ছিল। প্রথম বিসিএসেই তিনি সফলতা পেয়েছেন।
জানতে চাইলে জোবাইর বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহের রহমতে শিক্ষা ক্যাডারে নিজ বিভাগে ৪র্থ হয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। আপনাদের অব্যাহত প্রার্থনায় রাখবেন আমাকে।
আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে সুপারিশ পেলেন ২৮০৫
নিজের সাফল্য নিয়ে জোবাইর বলেন, নিজ লক্ষ্যে স্থির থেকে অধ্যয়ন চালিয়ে যেতে হবে। বিসিএস একটা ধৈর্যের পরীক্ষা। কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য মানসিক দৃঢ়তা রাখতে হবে।
ভরিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়নে অবদান রাখতে চাই আমি। আরও নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টির লক্ষ্যে পিএইচডি ডিগ্রিও অর্জন করতে চাই।
ছাত্র জীবনে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের তুখোড় বিতার্কিক ছিলেন। হলটির ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান জোবাইর সম্পর্কে বলেন, তিনি মানুষ হিসেবে ছিলেন অসাধারণ। তবে তিনি আচার-আচরণে ছিলেন অত্যন্ত সহজ-সরল। তিনি বঙ্গবন্ধু হল ডিবেটিং ক্লাবের অনেকগুলো নক্ষত্রের একটি।
বিতার্কিক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং ক্লাব ও বঙ্গবন্ধু হল ডিবেটিং ক্লাব উভয় জায়গায়তেই তার অনেক অর্জন রয়েছে। তিনি ১ম এসডিএস আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বির্তক উৎসব, হুমায়ুন আহমেদ স্মারক-২০১৯, ডিইডিএস আন্তঃহল-২০১৯, ১০ম স্বাধীনতা বির্তক উৎসবসহ অনেক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন বির্তক প্রতিযোগিতায় তিনি বিচারক হিসেবে অংশ নিয়েছেন।