একই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভাই-বোনের স্বর্ণপদক জয়

নাইমুল ইসলাম ও তুরে সাইনা তিথি
নাইমুল ইসলাম ও তুরে সাইনা তিথি   © সংগৃহীত

ওষুধ ও রোগ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল মেডিসিন অ্যান্ড ডিজিজ অলিম্পিয়াডে (আইএমডিও) স্বর্ণপদক পেয়েছেন দুই ভাই-বোন, নাইমুল ইসলাম ও তুরে সাইনা তিথি।  

চলতি বছরের ২৯ জুলাই শুরু হওয়া আইএমডিও এর এই প্রতিযোগিতার ফলাফল এসেছে আগস্টের মাঝামাঝিতে। যেখানে নাইমুলের প্রাপ্ত স্কোর ১০০ এর মধ্যে ৯১ এবং নাইমুলের বোন তিথি পেয়েছেন ৮৯। 

নাইমুল গত বছর ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক দিয়েছেন। ফুল-রাইড বৃত্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগও পেয়েছেন এই তরুণ। অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মূলগ্রাম উচ্চবিদ্যালয় থেকে  এ বছর এসএসসি দিয়েছেন তার বোন তুরে সাইনা তিথি।

ছোটবেলা থেকে জীববিজ্ঞানে আগ্রহী নাইমুল বিজ্ঞানসংশ্লিষ্ট সব প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন। গত বছর আইএমডিওতে অংশ নিয়ে পুরস্কার জেতা না হলেও সেই অভিজ্ঞতার হাত ধরে এবার স্বর্ণপদক পেয়েছেন তিনি। আইএমডিওতে অংশ নিতে হলে ইউনাইটেড স্টেট মেডিসিন অ্যান্ড ডিজিজ অলিম্পিয়াডের ধাপ পার করে আসতে হয়। এই ধাপে শীর্ষ ৫-এ স্থান করেছিলেন নাইমুল। 

নাইমুল ইসলাম তার নিয়মিত বইপড়ার অভ্যাসটাই এই সাফল্য অর্জনের জন্য সবথেকে কাজে লেগেছে বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ইউনাইটেড স্টেট মেডিসিন অলিম্পিয়াডের প্রশ্নগুলো জটিল হলেও নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পরীক্ষা শেষ করি। পরীক্ষা শেষে অন্যান্য দেশের প্রতিযোগীদের চিন্তিত দেখে মনে একটা সাহস পেয়েছিলাম। আমার পরীক্ষা যেহেতু ভালো হয়েছে তাই ভাবলাম ভালো কিছুই হবে।

অন্যদিকে বড় ভাইকে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেখে তিথির ইচ্ছা হতো এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। সে জানায়, গ্রামের একটা স্কুল থেকে এত বড় আয়োজনে অংশ নিতে পারাটাও বড় একটা ব্যাপার। ইউনাইটেড স্টেট মেডিসিন অ্যান্ড ডিজিজ অলিম্পিয়াডের পরীক্ষা ভালো হলেও কয়েকটা প্রশ্ন নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম। মূল পর্বে একটা কেস স্টাডি নিয়ে ভুগতে হয়েছে। ভাইয়ার পরামর্শ, দিকনির্দেশনা ও সামগ্রিকভাবে পরীক্ষা ভালো হওয়ায় আশাবাদী ছিলাম। তাই সাফল্য এসেছে। 

তবে দুই ভাই-বোনই মনে করেন, বাংলাদেশে আইএমডিও'র অ্যাসোসিয়েশন থাকলে অনেক কিছুই সহজ হয়ে যেত।

এদিকে বাংলাদেশ থেকে আইএমডিওতে সাফল্য পেয়েছেন আরও দুজন। ৮৯ নম্বর পেয়ে স্বর্ণপদক পেয়েছেন সামিয়া আফরোজ এবং ৮৫ নম্বর পেয়ে রৌপ্য জিতেছেন সানাউল হক। 

ইন্টারন্যাশনাল মেডিসিন অ্যান্ড ডিজিজ অলিম্পিয়াড হাইস্কুল পর্যায়ের একটি প্রতিযোগিতা। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়েগোতে প্রথমবার এই আসর বসেছিল। সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের যুক্ত করতে প্রতিযোগিতাটি পরে অনলাইনে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় আইএমডিও ফাউন্ডেশন।


সর্বশেষ সংবাদ