এসএসসিতে জিপিএ-৩.২৫— ব্যর্থতা আর জেদ থেকে বিসিএস জয় আনিসুরের

মো. আনিসুর রহমান
মো. আনিসুর রহমান  © টিডিসি ছবি

সম্প্রতি প্রকাশেত ৪১তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে (অর্থনীতি) সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন মো. আনিসুর রহমান। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের কাছে তুলে ধরেন তাঁর বিসিএস জার্নির অভিজ্ঞতা—

আমার গল্পে কেউ অনুপ্রাণিত হোক, হতাশার বেড়াজাল ছিড়ে স্বপ্নগুলো ডানা মেলে উড়ুক ঐ মুক্ত আকাশে। জীবনটা অমূল্য, সত্যিই অমূল্য। আমার বিসিএস জার্নিটা যদি কারো এতটুকু উপকারে আসে আমি সার্থক। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। আমি মো. আনিসুর রহমান, পিতা— মো: আবদুল মোমেন, মাতা— কাউসার আক্তার। গ্রাম: বড়উঠান, উপজেলা: কর্ণফুলী, জেলা: চট্টগ্রাম। একটি শান্ত, সবুজ, শ্যামল গ্রামেই আমার বেড়ে উঠা। আমার বাবা একজন সরকারি চাকরিজীবী, মা গৃহিণী। 

ছোটবেলা থেকে রক্ষণশীল পরিবারে আমার বেড়ে উঠা। আমার চার ভাইদের মধ্যে আমি সবার বড়। আমি ২০০৯ সালে দৌলতপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম পাবলিক পরীক্ষা এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। বাবা—মায়ের শত চেষ্টায়ও পড়ালেখায় সিরিয়াস ছিলাম না। এসএসসিতে আমার জিপিএ ছিল ৩.২৫। আমার রেজাল্ট আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের কাছে করুণার একইসাথে চরম লজ্জার বিষয়বস্তুতে পরিণত হলো। আব্বার অফিসের গার্ড চাচার ছেলের জিপিএও ছিল আমার চেয়েও বেশি। আব্বু প্রচন্ড মন খারাপ করল। আমার ভবিষ্যত নিয়ে আমাদের ঘরে বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। আমার যে রেজাল্ট তাতে আর যাই হোক কোন সরকারি কলেজে চান্স হবে না। কেউ বলল আমাকে আবার পরীক্ষা দিতে, কেউ বলল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে ডিপ্লোমা করতে, কেউ বলল গ্রামের কোন একটি কলেজ থেকে ফরম নিতে। 

আমার তখন লজ্জায় মুখ লুকানোর মতো অবস্থা। মনে হচ্ছে যেন কোন পাপ করে ফেলেছি। যাই হোক আবারও পরীক্ষা দেয়ার বিষয়টি মোটামুটি চুড়ান্ত। লজ্জায়, অপমানে মনের মধ্যে একটা জিদ চলে এলো। আব্বুকে বললাম, যাই হোক আমি ইয়ার লস দিব না। আমি কলেজে ভর্তি হব। মনোযোগ দিয়েই পড়াশোনা করব। কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে কোন সরকারি কলেজ থেকে ফরম পাই নি। শেষে দিলোয়ারা জাহান মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ভর্তি হই। প্রতিদিন ক্লাস করতাম। ২০১১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তুলনামুলকভাবে ভালো করি। এইচএসসিতে আমার জিপিএ ছিল ৪.০০। আমার এখনো মনে আছে, আমি এইচএসসিতে জিপিএ ৪.০০ পাওয়ায় আব্বা মসজিদে মিষ্টি বিলি করেছিল। 

বিসিএসে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা জিপিএ কোন ফ্যাক্ট না। আমি এসএসসিতে ৩.২৫ জিপিএ নিয়ে আপনাদের সামনে কথা বলছি। আপনার মধ্যে যদি জেদ থাকে, কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকে, নিজের দুর্বলতাগুলো যদি আইডেন্টিফাই করতে পারেন, প্রতিদিন অন্তত ১২-১৪ ঘন্টা যদি পড়তে পারেন আপনি ইনশাআল্লাহ ফার্স্ট টাইম ক্যাডার হবেন।

এরপর শুরু হলো আমার আসল সংগ্রাম। আমার প্রথম প্রেম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। দিন-রাত পড়তাম। সকালে ফজরের নামাজ পড়ে পড়তে বসতাম। সকাল ১১টায় গ্রাম থেকে চট্টগ্রাম শহরে কোচিংয়ে যেতাম। বিকেলে ফিরে আবারো পড়তে বসতাম। রাত পর্যন্ত পড়তাম, রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে যেতাম। নিয়মিত নামাজ পড়তাম। আব্বু-আম্মু রাজি না থাকায় চট্টগ্রামের বাইরে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফরম নেয়া হয়নি। শুধুমাত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ইউনিট থেকে ফরম নেই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওয়েটিং লিস্টে থাকলেও কোন ইউনিটে চান্স হয়নি। 

মনটা ভেঙ্গে গেল। আবারও সিদ্ধান্ত নিলাম, যাই হোক আমি ইয়ার লস দিব না। ভেবেছিলাম চট্টগ্রাম শহরের কোন একটি কলেজে অনার্স করব। কিন্তু জিপিএ কম থাকায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গ্রামের গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে ফরম নিই। ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে অর্থনীতিতে ভর্তি হই। অনার্সে নিয়মিত ক্লাস করতাম। গ্রামের কলেজে খুব কম ক্লাস হতো। চট্টগ্রাম শহরের কলেজগুলোতে অনেক বেশি ক্লাস হতো। আমি আমার বন্ধুদের সাথে গিয়ে চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজে ক্লাস করতাম। এভাবে ফার্স্ট ক্লাস নিয়ে অনার্স শেষ করলাম। ফার্স্ট ক্লাস পাওয়ায় চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ফরম নিয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হলাম। 

মাস্টার্সে পড়া অবস্থায় চট্টগ্রামের মুসলিম ইনস্টিটিউটে বিসিএস কনফিডেন্স কতৃর্ক আয়োজিত ৩৫তম বিসিএস ক্যাডারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি থেকে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার সুপ্ত বাসনা মনের মধ্যে জেগে উঠে। তখন থেকেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন কোচিংয়ে ফ্রি ক্লাস, সেমিনারগুলোতে অংশগ্রহণ করতাম। এভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করি। অনার্স এবং মাস্টার্সে আমার সিজিপিএ ছিল ৩.২২। 

অনার্স পাশের পর বিসিএস এর জন্য ম্যাথ, সাধারণ জ্ঞান পড়তাম। পুরোদমে আমার বিসিএস প্রস্তুতি শুরু হয় মাস্টার্সের পর। চট্টগ্রাম শহরে মেসে চলে আসলাম। 

২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের সাকুর্লার হয়। ২০১৯ সালে বিসিএস কনফিডেন্সে প্রিলিমিনারি কোর্সে ভর্তি হই। প্রতিটি ক্লাস করতাম, প্রতিটি এ্যাসাইনমেন্ট লিখিত আকারে রেডি করতাম। অনেক কষ্ট হত তবুও যে টপিকের এ্যাসাইনমেন্ট থাকত তা লিখিত আকারে মূল জিনিসটা লিখতাম। সিলেবাস বুঝে বুঝে কোন টপিক থেকে প্রশ্ন বেশি হয় সেগুলো বেশি বেশি পড়তাম। যেগুলো থেকে কম প্রশ্ন হয় বা পারি না সেগুলো প্রথম দিকে বাদ দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে মূল টপিকগুলোতে ভালো প্রিপারেশন হওয়ার পর এগুলোতে সময় দিয়েছিলাম। মাঝামাঝি মানের ছাত্র ছিলাম। কিছুদিন পরেই করোনা মহামারির জন্য সব কোচিং বন্ধ হয়ে গেল। আমি মেস থেকে গ্রামে চলে গেলাম। গ্রামে থাকাকালীন সময়টায় বেকারত্ব, ডিপ্রেশনের জন্য অসুস্থ হয়ে পড়ি। আবার চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠি। আড্ডা, ঘুরাঘুরি, মোবাইল আসক্তি বন্ধ করে দিলাম। তারপর আমার পড়ালেখাই আমার ধ্যান-জ্ঞান। লকডাউনের প্রায় ৬ মাস দিনে ১২-১৫ ঘন্টা করে পড়েছি।

করোনা আমার কাছে আশীবার্দ হয়ে এসেছিল। করোনা পরিস্থিতি একটু ভালো হলে আবারো শহরে মেসে চলে আসি। এতদিন শুধু পড়েই গিয়েছি। কোচিংয়ে আসার পর বুঝলাম আমার প্রায় সব বিষয়ে কিছুটা দক্ষতা চলে এসেছে। এরপর পড়াশোনা করে মজা লাগতো। দুইটি কোচিংয়ের লাইব্রেরিতে সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পড়তাম। মাঝে নামাজ, খাওয়া-দাওয়ার বিরতি। আর দুপুর ২ টায় একটা টিউশন করাতাম দুপুর বেলা ঘুম আসত, সময়টা যেন নষ্ট না হয়। কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল তাই কিছুদিন পর টিউশনটা ছেড়ে দিই। 

এভাবে ১৯ মার্চ ২০২১ সালে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিই। মনে হলো পাশ করব। কনফিডেন্সে লিখিত কোর্সে ভর্তি হই। এরমাঝে ৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ডেট দেয়। আমি সেদিনটির কথা কখনো ভুলব না। যেদিন প্রিলি পরীক্ষা ছিল সেদিন একটি প্রাইভেট ব্যাংকের লিখিত পরীক্ষা ছিল ঢাকায়। একটি চাকরি আমার খুব প্রয়োজন ছিল। চট্টগ্রামে দুপুর ১২টায় প্রিলি দিয়ে বিমানযোগে ঢাকা গিয়ে দুপুর ৩ টায় ব্যাংকের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি এবং ঐ চাকরির ভাইবার জন্য ডাক পাই। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমার চাকরিটা হয়নি। খুব হতাশ হয়ে পড়ি। এভাবে পড়তে পড়তে একসময় বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ডেট দেয়। নিজের সবোর্চ্চটা দিয়ে লিখিত পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো গুছিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। প্রচুর ডেটা, কোটেশন মুখস্থ করেছি। নিয়মিত অনুবাদ চর্চা করেছি। প্রতিদিন অন্তত ১-২ ঘন্টা দুইটি বাংলা দৈনিক (প্রথম আলো ও ইত্তেফাক) পড়েছি। 

বিগত বিসিএস এর সব প্রশ্ন বুঝে বুঝে সমাধান করেছি। একাধিক বই না পড়ে একসেট বই বারবার পড়েছি। অন্য বই থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মূল বইয়ের কোণায় কোণায় লিখে রেখেছি। 

আমার হাতের লেখা খুবই ছোট এবং স্লো কিন্তু পরিস্কার। লিখিত পরীক্ষায় খুব সংক্ষেপে মূল বিষয়টা লিখার চেষ্টা করেছি। পয়েন্ট, কোটেশন, গুরুত্বপূর্ণ বাক্যগুলো নীল কালিতে লিখেছি। লিখিত পরীক্ষাও খুব ভালো হয়। ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর আমার লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়। তারপর ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি আমি আরেকটি প্রাইভেট ব্যাংকে যোগদান করি। বর্তমানে সেখানেই কর্মরত আছি। আত্মবিশ্বাস ছিল লিখিত পাশ করব। আলহামদুলিল্লাহ এ যাত্রায়ও পাশ করে যায়।  

৩ আগস্ট ২০২৩, বিসিএস ফাইনাল রেজাল্টের দিন সারাদিন অফিসেই ব্যস্ত ছিলাম। অফিসের কেউ জানতো না সেদিন রেজাল্ট হবে। অফিস শেষে আমি আমার একজন কলিগসহ চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিই। আমাকে মাঝপথে কুমিল্লা যেতে হবে, কিন্তু কোন গাড়ি পাচ্ছিলাম না। বাধ্য হয়ে সিট না পেয়ে একটি বাসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কুমিল্লার পথে যাত্রা করলাম। সকাল থেকে এর মধ্যে কত হাজার বার রেজাল্ট চেক করেছি। দিচ্ছে না, দিচ্ছে না। হঠাৎ দেখলাম সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে পিএসসির ওয়েবসাইটে রেজাল্ট আপলোড করা হয়েছে। আমি তখনো বাসে ঠাঁই দাঁড়ানো। ভয়ে ভয়ে রেজাল্ট ডাউনলোড করলাম। ইচ্ছা ছিল একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিজের রোল চেক করব। আল্লাহ ভাগ্যে যা রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ বলে মেনে নিব। বাসে দাঁড়িয়ে থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। বিসমিল্লাহ বলে নিজের রোল সার্চ দিলাম। আলহামদুলিল্লাহ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা (অর্থনীতি) ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি, মেধাক্রম ৪র্থ। কয়েকবার চেক করলাম। তারপর একটা বিকট চিৎকার দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কলিগকে কয়েকবার জড়িয়ে ধরলাম। আর আল্লাহকে বললাম, আল্লাহ তুমি চাইলে কাউকে ঝুলিয়ে ঝুলিয়েও ক্যাডার বানাতে পারো। আলহামদুলিল্লাহ।  

বিসিএসে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা জিপিএ কোন ফ্যাক্ট না। আমি এসএসসিতে ৩.২৫ জিপিএ নিয়ে আপনাদের সামনে কথা বলছি। আপনার মধ্যে যদি জেদ থাকে, কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকে, নিজের দুর্বলতাগুলো যদি আইডেন্টিফাই করতে পারেন, প্রতিদিন অন্তত ১২-১৪ ঘন্টা যদি পড়তে পারেন আপনি ইনশাআল্লাহ ফার্স্ট টাইম ক্যাডার হবেন। চাকরিটা যদি আপনার সত্যিই প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি অবশ্যই কাজগুলো করতে বাধ্য থাকবেন।

ভাই, জীবনের ৩০টি বছর ভাল থাকার জন্য একটি বছর অনায়াসেই বিনিয়োগ করা যায়। আর একটা কথা, এতকিছু করার পরও আপনার ভাগ্যের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। আপনার রিজিক যেখানে, আপনি ঠিক সময়ে সে জায়গায় পৌছে যাবেন। আমার এসএসসিতে জিপিএ ছিল ৩.২৫।

আমি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারিনি। আমার এসএসসি ও এইচএসসিতে অর্থনীতি অপশনাল সাবজেক্ট ছিল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ভুল করে অর্থনীতি ফার্স্ট চয়েচ দিই। আজ সে অথনীতিতেই সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েই আপনাদের সামনে দাঁড়িয়েছি। আমি তখন বুঝতে পারিনি আমার দুর্বলতাগুলো আল্লাহ এত সুন্দর করে সাজিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহর পরিকল্পনা আমাদের চেয়ে সুন্দর। তাই আমরা যে যে অবস্থানে আছি, সবসময় আল্লাহর শুকরিয়া করা উচিত। 

আমার এ পথ চলাকে যদি একটি ছোট গল্প বলি তবে সে গল্পের নায়ক আমার বাবা। অবশ্যই আমার বাবা। বাবা আমাকে কখনো টাকার অভাব বোধ করতে দেয়নি। এছাড়া আমার পরিবার, শিক্ষকমন্ডলী, কাছের বন্ধুগণ, প্রিয় রুমমেট, কোচিংয়ের সহযোদ্ধা প্রত্যেকটা মানুষের কাছ থেকে সবসময় কিছু না কিছু শিখেছি।

আপনাদের প্রত্যেকের সাপোর্টের জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি। আমি আপনাদের কাছে ঋণী। আমার জন্য দোয়া করবেন যেন মানুষের সেবা করার মহান ব্রত নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারি। আপনার ভালবাসা, বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে পারি। ইনশাআল্লাহ আমি সেটার সবোর্চ্চ চেষ্টা করব। 


সর্বশেষ সংবাদ