এভারেস্ট জয়ের ১৩ বছর
পর্বতারোহী মুসা ইব্রাহিমের বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট সামিট জয়ের ১৩ বছর আজ। তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করেছেন। আজ মঙ্গলবার (২৩ মে) দিনটিকে স্মরণ করতে ভোলেননি তিনি। নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি তার অর্জনের কথা উল্লেখ করে সবাই অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ফেসবুক পোস্টের সঙ্গে পতাকা হাতে একটি ছবি যুক্ত করে মুসা লিখেছেন, ‘‘এভারেস্ট জয়ের ত্রয়োদশ বার্ষিকীতে সবাইকে অভিনন্দন।’’
২০১০ সালের ২৩ মে এভারেস্ট জয় করেন মুসা ইব্রাহিম। মুসার এভারেস্ট বিজয়ের সহ-অভিযাত্রী হিসেবে ছিলেন নেপালবাসী লাল বাহাদুর জিরেল।
সেদিন সকাল থেকেই গুঞ্জন মুসা ইব্রাহীম প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করেছেন। এভারেস্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তখনও বিষয়টি নিয়ে কিছু না জানালেও, ব্লগগুলোতে এ নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। শুভেচ্ছা বাণীতে ভরে যায় ফেসবুক-টুইটার।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় এক মেধাবী পর্বত আরোহী শিক্ষকের জীবনাবসান
এ গুঞ্জন প্রসঙ্গে সেদিন নেপালের মুক্তিনাথ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস কোমল আরিয়াল জানিয়েছেন, তিব্বত অংশ থেকে মুসা ইব্রাহীমের ট্যুর পরিকল্পনা করেছে হিমালয়ান গাইড। সংস্থাটির কর্মকর্তা ঈশ্বরী তিব্বত অংশের বেসক্যাম্প থেকে স্যাটেলাইট ফোনে রবিবার জানতে পারেন যে, মুসা প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন।
হিমালয়ান গাইড-এর কর্মকর্তা ঈশ্বরী টেলিফোনে বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ, তিনি (মুসা ইব্রাহীম) আজকে সকালে মাউন্ট এভারেস্ট সামিট জয় করেছেন। চীনা মান সময় সকাল আটটায়।’’
দিনটিকে স্মরণ করে মুসা নিজের ফেসবুকে লিখেন, একটা ভোর। ঘড়িতে সময় ৫টা ১৬। দিগন্তরেখায় সূর্য মাত্র উঁকি দিতে শুরু করেছে। পাখির কিচিরমিচিরে মানুষ আড়মোড়া ভেঙে দিন শুরুর প্রস্তুতি নিব নিব করছে। এই সাদামাটা আটপৌরে দিনটাকে বিধাতা একটু রঙিনভাবে তার সৃষ্টির কাছে হাজির করার পরিকল্পনা করলেন।
তিনি লিখেন, আর তাতেই এক বালকের ধণুভাঙ্গা পণ, অধ্যাবসায়, ত্যাগ, টিমওয়ার্ক, হার না মানার জেদ রাঙিয়ে দিয়েছিল দিনটাকে। আনন্দ ছড়িয়ে হাসিতে উজ্জ্বল করেছিল মুহূর্তগুলোকে। কারণ? কারণ, আপনাদের ভালোবাসায় বাংলাদেশের পতাকা উড়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়া এভারেস্ট শৃঙ্গে।