ছাত্র অধিকারের ৩ নেতাকে মারধর প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

ছাত্র অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ
ছাত্র অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ   © সংগৃহীত

শাহবাগ থানা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আটক এক ছাত্রকে মুক্ত করে ফেরার পথে মারধরের শিকার হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের তিন নেতা। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। আজ শুক্রবার বিকালে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় তারা ছাত্রলীগকে দায়ী করে এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন। 

এসময় গণঅধিকার পরিষদদের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক ফারুক হাসান বলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাবি শাখার দফতর সম্পাদক ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সালেহ উদ্দিন সিফাত, অর্থ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সম্পাদক আবদুল কাদেরের উপর ছাত্রলীগের ন্যাক্কার জনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ছাত্রলীগের বিষ দাঁত ভেঙে দিতে হবে, নইলে কেউই রেহাই পাবেনা এই মাফিয়াদের হাত থেকে।

জানা যায়, শুক্রবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির সামনের ফুটপাতে তাদের মারধর করা হয়েছে করা হয়। তাদের মধ্যে সিফাত ও আহনাফকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে সংগঠনটি।

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রবিরোধী কাজের প্রমাণ পায়নি পুলিশ, হলে উঠতে পারবেন সেই ঢাবি ছাত্র?

এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল কর্তৃপক্ষ মেফতাহুল মারুফ নামের এক ছাত্রকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। মেফতাহুলকে মুক্ত করতে আজ শাহবাগ থানায় যান ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার কয়েক নেতা। তাকে থানা থেকে মুক্ত করে ফেরার পথে সংগঠনটির নেতারা এ হামলার শিকার হন।

ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হুসাইন বলেন, আজ দুপুরের দিকে শাহবাগ থানা থেকে হেঁটে টিএসসির দিকে যাচ্ছিলেন সিফাত, আহনাফ ও কাদের। বাইকে করে তাদের অনুসরণ করছিলেন কবি জসীমউদ্‌দীন হল শাখা ছাত্রলীগের একদল কর্মী। জাতীয় কবির সমাধিসংলগ্ন ফুটপাতে ছাত্রলীগের ওই কর্মীরা মোটরসাইকেল থেকে নেমে সিফাত, আহনাফ ও কাদেরের ওপর হামলা করেন।

তবে এ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, এ সম্পর্কে আমরা অবগত নই। ছাত্রলীগের কর্মীদের এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর প্রশ্নই আসে না।

মেফতাহুল মারুফ ২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের কর্মসূচি নিয়ে ফেসবুকের মেসেঞ্জার গ্রুপে সমালোচনা করেছিলেন। মারুফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। গতকাল মধ্যরাতে হল কর্তৃপক্ষ মেফতাহুলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড ও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন।


সর্বশেষ সংবাদ