ছাত্রলীগকে দ্রুত সম্মেলন করার নির্দেশ
ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলোকে দ্রুত সম্মেলন করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার (২ এপ্রিল) আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নতুন সদস্য সংগ্রহ সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন অনুষ্ঠানে এই নির্দেশ দেন তিনি। এসময় আগামী ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলনের আভাসও দেন তিনি।
ছাত্রলীগসহ অন্য সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের এক প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের সহযোগী সংগঠন যাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, তাদের সম্মেলন অনুষ্ঠান করতে হবে এবং তাদেরকেও এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। অনতিবিলম্বে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিতে তাদেরকেও নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।
২০১৮ সালে ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের আড়াই মাস পর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে আসেন গোলাম রাব্বানী। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের কাছে চাঁদা দাবির ঘটনায় সংগঠন থেকে অব্যহতি পান শোভন ও রাব্বানী।
আরও পড়ুন- ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মন ভালো নেই
এরপর ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান লেখক ভট্টাচার্য। শুরুতে বলা হয়েছিলো ছাত্রলীগের সম্মেলন আয়োজন করার জন্য কাজ করবেন এই দুই নেতা। তাদের কাজে সন্তুষ্ট হয়ে ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জয়ও লেখককে ভারমুক্ত করে পূর্ণ দায়িত্ব দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব পাওয়ার পর দুই বছরের বেশি সময় পার করেছেন ছাত্রলীগের এই দুই নেতা।
‘৯০ দশকের পর ছাত্রলীগের প্রায় সব কমিটিই সম্মেলন আয়োজনের ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্র মানেননি। দুই বছরের জন্য দায়িত্ব পেলেও তারা চার বছর সময় পার করেছেন। এই নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে। নিয়মিত সম্মেলন না হওয়ায় অনেক যোগ্য নেতা বয়সের কারণে পরবর্তীতে আর নেতৃত্বে আসতে পারেন না। করোনার কারণে এবার দুই বছর পিছিয়ে যাওয়ায় বয়স কাঠামোতে শিথিলতা আনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।