ঢাবির এফ রহমান হল শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ কর্মীর চড়-থাপ্পড়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এফ রহমান হলের এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ওই হলের ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) হলের প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম রোকনুজ্জামান। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুনের অনুসারী। মুনেম শাহরিয়ার মুন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী।
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী (তৈমুর রহমান) বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আমি ‘হলের মাঠে সিনিয়র ভাইয়ের সাথে কথা বলেছি কেন’ এই কথা জিজ্ঞেস করে গেস্টরুমে রোকনুজ্জামান রোকন আমাকে সর্বশক্তি দিয়ে চড় মারে। যার ফলে পরবর্তী কয়েকঘন্টা আমি কানে শুনতে পাই নি ও তীব্র মাথাব্যথায় ভুগতে থাকি। পরবর্তীতে সে আমাকে হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয় ও হল প্রশাসনকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমি এক পর্যায়ে ভীত হয়ে মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ভাইয়ের বাসায় আশ্রয় নিতে চলে যাই। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
আরও পড়ুন: অবাধ্য হলে বউ পেটান, স্বামীদের পরামর্শ নারী মন্ত্রীর (ভিডিও)
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রোকনুজ্জামান তা অস্বীকার করে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি কাউকে মারিনি। আর এ নামে কাউকে চিনি না।
এ এটনায় হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে সংগঠন থেকে কখনোই কাউকে এরকমের নির্দেশ দেয়া হয় না। তারপরও যদি এরকম কাজ কেউ করে থাকে তাহলে আমাদের অভিভাবক হিসেবে প্রভোস্ট স্যার যে সিদ্ধান্ত নিবেন তাতে আমরা একমত পোষণ করবো। আর অভিযোগ প্রমানিত হলে আমরা সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেবো।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ শুরু ২৬ মার্চ
এ বিষয়ে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান ওই হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, আজকে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি। ইতিমধ্যে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী শনিবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তদন্ত কমিটিতে ওই হলের দুই জন হাউজ টিউটরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।তারা হলেন- ড. ফারুক শাহ ও ড. মুমিত আল রশীদ।