ছাত্রলীগের গেস্টরুম নির্যাতনের নিন্দা জাসদ ছাত্রলীগের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে গেস্টরুমে নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মো. ফাহিমুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গতকাল দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয়-৭১ হলে প্রথম বর্ষের অসুস্থ শিক্ষার্থী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আকতারুল ইসলামকে হলের গেস্টরুমে প্রায় ১০ মিনিট লাইটের দিকে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য করা হয় এবং সে অজ্ঞান হয়ে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত মুক্তচিন্তা চর্চার প্রাণকেন্দ্রে এ ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও হৃদয় বিদারক।
আরও পড়ুন: গেস্টরুমে অসুস্থ শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
এতে বলা হয়, আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর এ ধরনের অমানুষিক নির্যাতনের যে সংস্কৃতি চালু হয়েছে তা এখনই বন্ধ করা না গেলে তলানীতে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তার লেশটুকুও থাকবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনতিবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করবে বলে সংগঠনটির বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের ২০২০-২১ সেশনের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আকতারুল ইসলামের ওপর কথিত ‘গেস্টরুম’ কালচারের নামে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে একই হলের ৬ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা সকলেই ছাত্রলীগের অনুসারী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীকে নির্যাতনকারী ৬ জনই ছাত্রলীগের কর্মী
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- সমাজবিজ্ঞান বিভাগের কামরুজ্জামান রাজু, ইতিহাস বিভাগের হৃদয় আহমেদ কাজল, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইয়ামিম ইসলাম, মনোবিজ্ঞান বিভাগের ওমর ফারুক শুভ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাইফুল ইসলাম ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সাইফুল ইসলাম রোহান। তারা ৬ জনই ২০১৯-২০ সেশনের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের বিরোধের জেরে তৈরি হয় নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। জাসদও তাদের ছাত্র সংগঠনের নাম ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’-ই রাখে। এরপর সত্তরের দশকের শেষদিকে জাসদ ভেঙে নতুন দল হয় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। বাসদও তাদের ছাত্র সংগঠনের নাম দেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।