১৭ জানুয়ারি ২০২২, ২০:৫০

শাবিপ্রবিতে হামলা: ঢাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ (ভিডিও)

ছাত্রদলের বিক্ষোভ  © টিডিসি ফটো

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদল। আজ সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পালিত হয়। তবে এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন না ঢাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান।

আরও পড়ুন: পদত্যাগ চেয়ে ঢাবির ঘৃণা স্তম্ভে অধ্যাপক ফরিদের কুশপুত্তলিকা

বিক্ষোভের বিষয়ে আখতার হোসেন বলেন, শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের চলমান যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর পক্ষ থেকে আমরা একমত পোষণ করছি। অনতিবিলম্বে ভিসির পদত্যাগ এবং প্রসাশনের ছত্রছায়ায় অন্যায়ভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হাসানুর রহমান, আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, স্যার এ এফ রহমান হলের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আল-আমিন, শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমাম হাসান অনিক, স্যার এ এফ রহমান হলের ছাত্রনেতা রাকিবুল ইসলাম, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ছাত্রনেতা মনসুর রাফি প্রমুখ।

আরও পড়ুন: হলের কক্ষে তালা, জয়-লেখক থাকেন বিলাসী ফ্ল্যাটে

গতকাল রবিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। ভবনের তিন তলার ৩৩৩ নম্বর কক্ষে কিছু কর্মকর্তা ও শিক্ষকসহ তিনি অবস্থান করেন। বিকাল ৪টায় আইআইসিটি ভবনের সামনে উপাচার্যকে মুক্ত করতে পুলিশ উপস্থিত হয়। এ সময় ‘ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন? প্রশাসন জবাব চাই’ স্লোগানে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ভবনে ভবনে তালা, ভিসির পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল

সন্ধ্যায় লাঠিপেটার পাশাপাশি, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে পুলিশ ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে ভিসিকে উদ্ধার করে বাংলোতে পৌঁছে দেন। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ১২টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেন।