১৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:৪১

কাওয়ালি অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্র ফেডারেশনের প্রতিবাদ সমাবেশ

রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি সংসদের প্রতিবাদ সমাবেশ।  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত কাওয়ালি সঙ্গীত অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: ওমিক্রন টিকাহীনদের জন্য বিপদজনক: ডব্লিউএইচও

সমাবেশে ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, মানুষ এখন সবসময় ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে থাকে। গুগলে সার্চ দিলে দেখা যায় যত অপকর্ম আসে সব ছাত্রলীগের করা। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়য় নীতি শেখানোর নামে তারা শিক্ষার্থীদের হত্যা করে। আওয়ামী লীগ যেভাবে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয় এর পরিণামে এরাও তাসের ঘরের মতো একদিন ঝরে পড়বে।আজকে এদের মেরুদন্ড নেই। এজন্য তারা শিক্ষার্থীদের মেরুদন্ড ভাঙ্গতে চায়। কোন প্রকার সন্ত্রাসী গিরি চিরস্থায়ী নয়।


তিনি আরও বলেন,তারা বিরোধী দলের যেকোন অনুষ্ঠানকে ভয় পায়। এজন্য কাওয়ালি সঙ্গীত অনুষ্ঠানে হামলা করা হয়েছে। ছাত্রলীগকে কখনো হেলমেট, কখনো হাতুড়ি বাহিনী হিসেবে, কখনো রাইফেল হাতে মানুষের উপর হামলা চালাতে দেখা যায়। এরা এখন আতঙ্কের নাম।

আরও পড়ুন: ব্যাংকের অফিসার সেজে ঢাবি ছাত্রীকে বিয়ে, আসলে কফি ব্যবসায়ী

সরকারকে উদ্দেশ্য করে মোস্তফা বলেন, এখন শিক্ষার্থীদের মেরে রক্তাক্ত করা হয়। মোস্তফা আহমেদ কে হত্যা করা হয়েছে। তার কান‌ ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে। গণমাধ্যমে যারা লেখালেখি করে এখন এদের জেলে যেতে হয়। যে শপথ নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন তা পালন করুন। না হলে এর জবাব একদিন দিতে হবে। একদিন এসবের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন বলেন, গতকালের ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতেই ঘটেছে। কিন্তু তাদেরকে আমরা পুরোপুরি নিরব থাকতে দেখেছি। এইখানে বিভিন্ন আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বহু ধরনের সঙ্গীত অনুষ্ঠান হয়েছে। কিন্তু, আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই কাওয়ালি অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ ‌কেন হামলা করল। আমাদের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা।