চাকরির আশায় ছাত্রলীগ করা রবিন আজ ফাঁসির আসামী

মেহেদী হাসান রবিন
মেহেদী হাসান রবিন  © ফাইল ছবি

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় যে ২০ জনের ফাঁসির রায় হয়েছে তাদের মধ্যে একজন হলেন মেহেদী হাসান রবিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র রবিন আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

রবিনের বাবা মাকসুদ আলি রাজশাহীর কাপাসিয়া গ্রামের ভারুয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং সে সময় আওয়ামী লীগের কাটাখালি শাখার ১নং ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।   

রবিনের পরিবার ভাবেনি যে রাজনৈতিক পদ তাকে একটি অপ্রীতিকর পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিবে। বরং তাদের ধারণা ছিল, পড়াশোনা শেষ করার পর তার ছাত্রলীগের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা তাকে একটি ভালো চাকরি পেতে সাহায্য করবে।

রবিনের বাবা মাকসুদ বলেন, ছেলে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা খারাপ কিছু নয়। আমি নিজে রাজনীতি করি এবং আমার ছেলেও করে। আমাদের মন্ত্রী এবং আইনপ্রণেতারাও যুবক বয়সে রাজনীতি করেছেন। এভাবেই তারা আজকের রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন।

তবে রবিনের বাবা বিশ্বাস করতেন, আবরার হত্যাকাণ্ডে তার ছেলের কোনো হাত নেই এবং তদন্তে রবিন নির্দোষ প্রমাণিত হবেন। কিন্তু আদালতের রায়ে তার সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন দেখা যায়নি।

রবিনের এক আত্মীয় জানান, মানুষ ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হয় সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য। ভালো শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরেও অনেকে চাকরি পায় না। কিন্তু রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকলে চাকরি পাওয়া যায়। 

রবিন তার বাবা মাকসুদ আলি এবং মা রাশিদা বেগমের একমাত্র ছেলে। তিনি পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। স্থানীয়রাও তাকে একজন নম্রভদ্র ছেলে হিসেবেই চেনে, যে কিনা নিজের পড়ালেখা এবং অবসর সময়ে ক্রিকেট খেলা দেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

তবে রবিন ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত একথা জানতে পেরে সে সময় বেশ অবাক হয়েছেন তার গ্রামের লোকজন। স্থানীয় ছাত্রলীগের সদস্যরা জানান, রবিনের রাজনীতিতে যুক্ত থাকার কথা তারা কেউই জানতেন না। 


সর্বশেষ সংবাদ