শিক্ষাক্ষেত্র দুর্নীতি বাড়িয়েছে পিইসি পরীক্ষা, বাতিলের দাবি ছাত্র ফ্রন্টের

প্রাথমিক শিক্ষা সনদ (পিইসি) পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই কর্মসূচির আয়োজন করে সংগঠনটি। 

সহ-সভাপতি ডা. জয়দীপ ভট্টাচার্য বক্তব্যে বলেন, ২০০৯ সালে পিইসি পরীক্ষা চালুর পর থেকেই আমাদের সংগঠন তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এ পরীক্ষা শিশুর শৈশব কেড়ে নিয়েছে। গাইড-কোচিং নির্ভর এ পরীক্ষা শিক্ষায় বাণিজ্যিকীকরণকে তরান্বিত করছে। ভালো ফলের জন্য প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। যা শিক্ষাক্ষেত্র দুর্নীতি বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের সংগঠন পিইসি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে মতামত তৈরি করে। সারাদেশে অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্বাক্ষর সংগ্রহ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। সরকার ২০১৬ সালে পিইসি পরীক্ষা বাতিলের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দেয়। ২০২১ সাল থেকে পিইসি পরীক্ষা বাতিল হবে বলে ঘোষণাও আসে। কিন্তু পূর্বের ঘোষিত সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সরকার এ বছর পরীক্ষাটি নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে এমনিতেই করোনার কারণে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আমরা সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি ও অবিলম্বে এ পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।

সভাপতি মাসুদ রানা তার বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ  দেড় বছর ধরে করোনা মহামারীর কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ।এই দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার সব থেকে ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে। শিশুরা পাবলিক পরীক্ষা দিলে মানসিক চাপে থাকে। এটা দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। তবুও এটা নেয় কোচিং ও গাইড বই বাণিজ্যের জন্য। তাই এটি ২০১৬ সালে বন্ধ করেও ২০১৮ সালে আবার চালু করে। এছাড়া পিএসসির বর্তমান মূল্যায়ন ত্রুটিপূর্ণ দাবি করে তা বাতিলের জোর দাবি জানান তিনি। 

কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক সঞ্জয় কান্ত দাস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ, দপ্তর সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী, সদস্য সাদিক, গৌতম নওশীন প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ