শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আন্দোলনে পুলিশের বাধা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়াসহ চার দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়াসহ চার দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ  © সংগৃহীত

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াসহ চার দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার (১৬ জুন) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য থেকে কর্মসূচিটি শুরু হয়।

মিছিলটি এদিন দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু হয়। এরপর শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, কদমফোয়ারা মোড় হয়ে সচিবালয়ের সামনে আসলে পুলিশ আটকে দেয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। পরে সেখানেই অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন তারা।

এসময় জোটের নেতা কর্মীরা ‘শিক্ষা ব্যবসা, এক সাথে চলে না’; ‘হল-ক্যাম্পাস খুলে দাও, নাইলে গদি ছেড়ে দাও’; ‘অচল হল সচল করো, শিক্ষা জীবন রক্ষা করো’; ‘বাধা আসবে যেখানে, লড়াই হবে সেখানে’; ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়।

শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে- অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ কর প্রত্যাহার, সব শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতন-ফি মওকুফ করা।

ছাত্রজোটের সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, আমরা শুরু থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান করছি। শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেয়ার আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আমরা দেখলাম ফ্যাসিবাদী সরকার আমাদের দাবিতে কর্ণপাত করেনি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগও দেখতে পাচ্ছি না। রোডম্যাপও ঘোষণা করা হচ্ছে না। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ওপর ঠিকই ১৫ শতাংশ করারোপ করে।

তিনি বলেন, এ সরকার যে বর্বরতা, কর্মকাণ্ড করছে, আমাদের যৌক্তিক দাবিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। এতে করে এ সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্র স্পষ্ট। বাধা দিয়ে আমাদের আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। শিক্ষা খাতের এ চক্রান্ত এবং এই চক্রান্তের মূল ফ্যাসিবাদী সরকারকে রুখে দিতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ