দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের জন্য সরকারের পরিকল্পনা কী?—প্রশ্ন রাব্বানীর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২১, ০৪:৫১ PM , আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২১, ০৫:৫৮ PM
করোনার ঊর্ধ্বগতি, চলমান লকডাউন আর সেই সাথে কাঁচাবাজারে দ্রব্যের অসহনীয় দাম। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষদের বর্তমানে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি। সবারই দৃষ্টি সরকারের দিকে। এই ভয়াবহ অবস্থার দ্রুত সমাধান চাই জনগণের। এবার সাধারণ মানুষদের সাথে সরকার ও তার কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাম রাব্বানী।
তিনি শনিবার (১০ এপ্রিল) তার ভেরিফাইড ফেসবুক অক্যাউন্ট থেকে বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে একটি পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন,
'এমনিতেই চাল-ডাল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আকাশচুম্বী! দায় সরকারের নাকি মজুতদার আর মধ্যস্তত্বভোগী সিন্ডিকেটের জানিনা, খোলা বাজারে সামান্য এক হালি লেবুর দাম হাঁকাচ্ছে, ৮০/১০০/১২০ টাকা!
তো ৭ দিনের কঠোর লকডাউনে সাধারণ খেঁটে খাওয়া দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিক শ্রেণির মানুষের কি হবে, যাদের কোন সঞ্চয় নেই, যারা দিন আনে দিন খায়, যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয়!
এদের বাঁচানোর জন্য সরকার কি কোন পরিকল্পনা করেছে? দায়িত্বশীল কারো জানা থাকলে অনুগ্রহপূর্বক জানাবেন।'
তার পোস্টটিতে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি রিয়েকশন ও ৩৬১টি শেয়ার হয়েছে। এছাড়াও অনেকে তার পোস্টের কমেন্ট সেকশনে নিজেদের মন্তব্য জানিয়েছেন।
ওই পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে মোহাম্মদ আবদুল হাই পিএএ নামে একজন লিখেছেন, 'সরকার সবার বিষয়ে ভাবে এবং পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকে। দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করছে। খোলা বাজারে কম দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে, বিভিন্ন ধরনের ভাতা দেয়া হচ্ছে, ত্রাণের মাধ্যমে অসহায় ও দরিদ্রদের খাদ্য দেয়া হচ্ছে এবং হবে। সমস্যা হলো বাজারে গিয়ে সবাই বেশি বেশি জিনিস কিনে যাদের টাকা আছে । এটি কাম্য নহে। আমি এক হালি লেবু কিনেছি। কিন্তু ডজন ডজন লেবু কেনার দরকার কি। নূন্যতম প্রয়োজনে জিনিস কিনলে বাজারে জিনিসের দাম স্থিতিশীল থাকবে। এখনো ফাস্টফুড, চাইনিজ, ফুডকোট ও পোশাকের দোকানে মানুষের ভীড় বেশি কিন্তু কেন?'
সরকার ইউসুফ নামে এক আইডি থেকে লিখেছেন, 'দ্রব্যমূল্য এত বেশি বৃদ্ধির পিছনের মূল কারন ক্ষতিয়ে দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।। ব্যবসায়ীদের ছিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে একশন নিতে হবে তবেই সাধারন মানুষ শান্তিতে দু মুঠো ভাত খেতে পারবে।।যেখানে চাউল ৫২থেকে ৭৫টাকা কজি।তেল ১৩৫টাকা কেজি৷।। পিয়াজ ৩০-৪০টাকা কেজি।।ডাউল ৭০-১২০টাকা কেজি সেখানে দিনমজুররা শান্তিতে দু মুঠো ভাত কিভাবে খাবে।।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দয়া করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে একটা ব্যবস্থা নিন।'