শুধু স্বীকৃতি নয়, কওমি সনদের যথাযথ বাস্তবায়ন দাবি

জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন
জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সনদের শুধু স্বীকৃতি নয়, এর যথাযথ বাস্তবায়ন দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন। আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরামের সভাপতিত্বে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে নূরুল করীম বলেন, কওমি শিক্ষার্থীদের শুধুই সনদের স্বীকৃতি দিয়ে সরকার তার দায় শেষ করতে পারেনা। শিক্ষার্থীদের সনদের স্বীকৃতির যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। একইসঙ্গে দারুল উলুম দেওবন্দ, দারুল উলুম করাচি, মদিনা ও আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহির্বিশ্বে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের ব্যাপারে সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, কওমি শিক্ষার্থীদেরকে দূরে রেখে দেশের টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। কওমি শিক্ষার্থীদের মেধাগুলো যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে পারলে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, কওমি সনদের স্বীকৃতি ছিল একটি আইওয়াশ মাত্র। ঘোষণার ৪ বছর হতে চললো। কিন্তু স্বীকৃতির যথাযথ বাস্তবায়নে সরকারের কোন ধরনের সদিচ্ছা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

শরিফুলে ইসলাম বলেন, এখনো শিক্ষা জরিপে কওমি শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে জরিপ প্রকাশ করা হয়। এটি চরম বৈষম্যমূলক আচরণ। জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য লজ্জার। স্বাধীনতার পর থেকেই সব সরকারের আমলেই কওমি শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত ছিল।

মানববন্ধনে কওমি শিক্ষার্থীদের পক্ষে সরকারের প্রতি ৭ দফা দাবি জানানো হয়েছে-

১. কওমি সনদের স্বীকৃতি বাস্তবায়নে রাষ্ট্রকে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
২. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা জরিপসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রমে কওমি শিক্ষাধারাকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
৩. কওমি মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা বজায় রেখে কওমি শিক্ষার্থীদেরকে ধর্মীয় ও সংশ্লিষ্ট সেক্টরসমূহে চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. মুতাওয়াসসিতা ( হেদায়াতুন্নাহু) ও সানুভিয়া (শরহে বেকায়া) কে যথাক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং মেশকাত কে বিএ অনার্স এর সমমান দিতে হবে।
৫. দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেরকে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমপিল ও পিএইচডির সুযোগ দিতে হবে এবং দারুল উলুম দেওবন্দ, নদওয়াতুল উলামা সহ বহির্বিশ্বে উচ্চ শিক্ষা অর্জনে সরকারকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৬. রাষ্ট্রের বার্ষিক বাজেটে কওমি শিক্ষা কার্যক্রম ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দিতে হবে।
৭. মেধাবী ও তুলনামূলক অসচ্ছল কওমি শিক্ষার্থীদের সরকারী-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বৃত্তির ব্যবস্থা করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ