২৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৩:০৭

৬ দিন ধরে নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক কর্মী

আসাদুল্লাহ আল সাদিক  © সংগৃহীত

বগুড়ার পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সাথী (কর্মী) আসাদুল্লাহ আল সাদিক (২৪) ৬ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজের ঘটনায় গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

আজ শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। 

নিখোঁজ সাবেক শিবির কর্মী সাদিক গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের শিমুলতাইড় গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। মতিউর রহমান বলেন, ‘আমার ছেলে ছাত্রশিবির করে। তবে কোন পদে আছে তা আমার জানা নেই।’ 

আরও পড়ুন : মারা যাওয়ার একমাস পর ছাত্রদলের কমিটিতে জায়গা

সাদিকের পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে সাদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। ট্রেনে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও ট্রেন মিস হওয়ায় পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় রওনা হওয়ার কথা বাবা–মাকে ফোনে জানান। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ এবং কোনোভাবেই তার সন্ধান মিলছে না।

পরিবারের সদস্যরা রাতভর এবং পরবর্তী কয়েক দিন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো তথ্য পাননি। পরে বুধবার (২৬ নভেম্বর) সাঘাটা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। ছেলেকে না পেয়ে দুশ্চিন্তায় ভেঙে পড়েছেন স্বজনরা।

সাদিকের এক স্বজন বলেন, ‘চারদিন ধরে কোনো সংবাদ নেই। আমরা উদ্বিগ্ন। কেউ যদি তার কোনো খোঁজ জেনে থাকেন, তাহলে দয়া করে জানাবেন।’

তবে ছাত্রশিবিরের এক কেন্দ্রীয় নেতা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আসাদুল্লাহ আল সাদিক ২০২৩ সালের দিকে শিবিরের সাথী ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সংগঠন থেকে বিদায় নিয়েছেন। বর্তমানে তার সঙ্গে শিবিরের সাংগঠনিক কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই এবং সে বর্তমানে কি করে বা কোন সংগঠন করে কি না আমাদের জানা নেই।’

সাঘাটা থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘থানায় জিডি হয়েছে, শিবির নেতাকে খোঁজে বের করতে আমরা কাজ করছি।’

সাঘাটা থানার ওসি মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ‘গত ২৬ তারিখ আমরা নিখোঁজ হওয়ার জিডি পেয়েছি। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। নিখোঁজ হওয়ার পেছনে সম্ভাব্য সব কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সারা দেশে আমরা রেডিও বার্তা দিয়েছি। আশা করি, দ্রুতই অগ্রগতি পাওয়া যাবে।’