‘সাত কলেজের সংকট নিরসনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১০ PM , আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১০ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সংকট নিরসনে চলমান আন্দোলনকে যৌক্তিক মনে করে সংকট নিরসনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এমন দাবি জানান সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাছির আহমাদ।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছিল যে, এ পদক্ষেপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মানোন্নয়ন হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে অগ্রগতি অর্জিত হবে। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবকাঠামো ও সিস্টেমের মাধ্যমে ঢাবির শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাত কলেজের আড়াই লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর দায়িত্ব গ্রহণ সম্ভব নয়। বরং সাত কলেজের শিক্ষার্থীদেরকে আত্মপরিচয়ের সংকটে ফেলে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষা, ফলাফলসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা এই অধিভুক্তি থেকে মুক্তি চায়।’
তিনি আরও বলেন, অব্যবস্থাপনা, বৈষম্য এবং মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ না পাওয়ায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বারবার আন্দোলনে নামতে বাধ্য হচ্ছে। এসব সমস্যার সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ না নিয়ে প্রশাসন একে অপরের দিকে দায়িত্ব ঠেলে দিচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইবরাহীম খলীল বলেন, এই অধিভুক্তি একটি অগবেষণাপ্রসূত এবং ব্যবসায়িক স্বার্থে চালিত প্রকল্প ছিল। কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি নিজেদের আর্থিক ও রাজনৈতিক স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে সাত কলেজকে অধিভুক্ত করা হলেও, প্রকৃতপক্ষে এই প্রকল্পের ব্যর্থতা এখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা একটি বড় সংকটের মধ্যে রয়েছে, যা দীর্ঘস্থায়ী হলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ঢাবি ও সাত কলেজের প্রায় তিন লক্ষ শিক্ষার্থীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দাবির প্রতি সরকারকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
সাত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কমিশন গঠন করে যৌক্তিক পদক্ষেপের মাধ্যমে সৃষ্ট সংকট সমাধানের পথ উন্মোচিত হতে পারে বলে নেতৃবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মুহাম্মাদ ফয়জুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মুহাম্মাদ ইয়াছিন আরাফাত, সরকারি তিতুমীর কলেজ সভাপতি শরিফুল ইসলাম যিয়াদ, সরকারি বাঙলা কলেজ সভাপতি শরীফ খান, কবি নজরুল সরকারি কলেজ সভাপতি রাশেদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ আলাউদ্দিন, ঢাকা কলেজ সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, তিতুমীর ঐক্য আন্দোলনের উপদেষ্টা নায়েক নুর মোহাম্মদ, এবং সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।