তরুণ ঐক্যের ডাক শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতার
প্রকাশ্যে নিজের পরিচয় তুলে ধরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ টাইমলাইনে এক স্ট্যাটাস দিয়ে প্রকাশ্যে আসেন তিনি। এছাড়া এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লাউঞ্জে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সাদিক কায়েম। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাস রাজনীতিতে প্রকাশ্যে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রশিবির।
এদিকে হঠাৎ করে এভাবে প্রকাশ্যে আসায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। এর ফলে অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে সংগঠনটি মনে করে, গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশার আলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মেধার রাজনীতি চায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। তাছাড়া তরুণ ঐক্যের ডাক দিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ। শনিবার ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি এই ঐক্যের ডাক দেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দুয়েকদিনের মধ্যে: কেন্দ্রীয় সভাপতি
পোস্টে শিবিরের কেন্দ্রীয় এই নেতা লিখেন, আপনি নিশ্চয়ই জানেন, ফ্যাসিবাদের আশ্রয়দাতারা আরো বড় ষড়যন্ত্র করছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কারণেই ফ্যাসিবাদ পরাজিত হয়েছে। আসেন জাতীর বৃহত্তর স্বার্থে সবাই এক হয়ে কাজ করি। ঐক্য ছাড়া এ লড়াই প্রায় অসম্ভব।
তিনি আরও লেখেন, শুধুমাত্র নামের কারণে আর অপপ্রচারের কারণে কাউকে আলাদা না করে ফেলি। ছাত্রদল ইতিমধ্যে লড়াইয়ের মাঠে পরীক্ষা দিয়েছে। আমি নিজে সভাপতি রাকিব ভাইয়ের শরীরে অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন দেখেছি। বাম, মধ্যপন্থি ও ইসলামী দলগুলোর অবদানও জাতি উদ্ধারে ব্যাপক।
“বিশ্বাস করেন দেশের স্বার্থে যে তরুণরা সবচেয়ে অবদান রাখবে তাদের মধ্যে সাদিকরা (ঢাবি শাখা শিবিরের সভাপতি) অন্যতম। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের স্বাধীনতা নিয়ে তরুণ প্রজন্মের ঐক্য অনিবার্য। ঐক্যের জন্য অনেক বড় হৃদয় লাগে। কিন্তু আমরা কি পারবো এতটা উদার হতে?”