ছাত্র রাজনীতির অনুপস্থিতিতে ক্যাম্পাসে মব কালচারের বিস্তার ঘটছে: ছাত্রদল সভাপতি
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫০ PM , আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১০ PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের আলোচনাটি হঠাৎ সামনে আনা একটি ভুল পদক্ষেপ। গণতান্ত্রিক পরিবেশের অনুপস্থিতিতেই ক্যাম্পাসে মব কালচারের বিস্তৃতি ঘটছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে এসব কথা বলেন রাকিব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশচন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্যে ছাত্রদল সভাপতি রাকিব হত্যা কান্ডের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, চোর সন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের অতিথিকক্ষে আটকে রেখে তোফাজ্জল নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ হত্যার ঘটনায় বেশি মারধর করেছেন ছাত্রলীগের সদ্য পদত্যাগ করা উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদসহ একদল শিক্ষার্থী।
❝বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে কয়েক ঘণ্টা ধরে মারধর করে একজনকে হত্যা করার ঘটনাকে আমরা হল প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা বলে মনে করছি। ছাত্রলীগের পদধারী কতিপয় সন্ত্রাসী বর্তমানে সাধারণ শিক্ষার্থী নামে হলগুলোতে অবস্থান নিয়েছে। তারা বিভিন্ন সময়ে 'মব তৈরি করে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী নামে সক্রিয় এই মব কে প্রশ্রয় না দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।❞
তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এধরণের বিচারহীনতার সংস্কৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। আমাদের দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিস্টবিরোধী সংগ্রাম, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যই ছিল এদেশ থেকে সকল অন্যায়, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূরীভূত করা।
তিনি আরো বলেন, একজন ব্যক্তি অপরাধী হলেও তাকে কোনভাবেই হত্যার কোন সুযোগ নেই। কিন্তু জনতার বিজয়ের পর থেকে কিছু অতিউৎসাহীর কারণে গণমানুষের এই আকাঙ্খাটি বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। একইসাথে গতকালের এই দুটি ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে ছাত্ররাজনীতি ক্যাম্পাসের মূল সমস্যা নয়। গত কয়েক বছরের ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থার মাঝে তৈরি হওয়া সিস্টেমই এখানে খুনি মানসিকতা তৈরি করছে। তাই গোটা ব্যবস্থাটির সংস্কার প্রয়োজন। কোন কিছু উপরে ফেলা সমাধান নয়। ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা এদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্র- জনতার আন্দোলনেও নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিল, আন্দোলনে অকাতরে নিজেদের জীবন দিয়েছে।