আন্দোলনের ছবি-ভিডিও পোস্ট করায় গ্রেফতার রাবির সাবেক শিক্ষার্থী
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫১ PM , আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৭ PM
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৯ জুলাই) নগরীর কোর্ট স্টেশন এলাকা থেকে কয়েকজন সাদা পোশাকধারী তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে বিস্ফোরক মামলায় তাকে কোর্টে চালান করে মতিহার থানা পুলিশ।
রাবির সাবেক ওই শিক্ষার্থীর নাম রাশেদ রাজন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগ থেকে পড়ালেখা শেষ করেছেন। বর্তমানে তিনি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এছাড়াও তিনি ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি টানা ক্যাম্পাসভিত্তিক জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল ‘ক্যাম্পাস লাইভে’ ৫ বছর কাজ করেছেন।
রাশেদ রাজনের ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা যায়, গত ২৯ জুলাই সারাদেশের শিক্ষার্থীদের একাত্মতা পোষণ করে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এমন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন রাশেদ রাজন। এছাড়াও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও পোস্ট করায় তাকে ডিবি পরিচয়ে নগরীর কোর্ট স্টেশন এলাকা থেকে তুলে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে ৩০ জুলাই তাকে কোর্টে চালান করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, ছাত্রদের আন্দোলন পুরো দেশব্যাপী ছড়িয়ে গেছে। সে জায়গা থেকে অনেকেই আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছেন। আবার যারা সরাসরি না যুক্ত হতে পারছেন তারা অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্দোলনের ছবি ভিডিও পোস্ট করে নিজে প্রতিবাদ করছেন। রাশেদ রাজন ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করায় সকলের সাথেই ভালো সম্পর্ক বজায় ছিলো। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে নিজেও দেশজুড়ে গণহত্যার প্রতিবাদ করছেন। আমরা তার গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাই। পুরো দেশটা এখন জেলখানা, যাকে ইচ্ছে তাকেই রাতের আধারে তুলে নিয়ে যাচ্ছে, গ্রেপ্তার করছে ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোবারক পারভেজ বলেন, রাশেদ রাজন নামের ওই শিক্ষার্থীকে ডিবি পুলিশ আটক করেছিলেন। পরে মতিহার থানায় পাঠানো হলে সেখান থেকে তাকে কোর্টে চালান করা হয়। বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।