সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ৯ শর্ত কোটা আন্দোলনকারীদের

  © টিডিসি ফটো

কোটা সংস্কারপন্থী শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ৯টি শর্ত দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শুক্রবার (১৯ জুলাই) সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আবদুল কাদের ও হাসনাত আব্দুল্লাহ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তারা বলেছেন, দাবিগুলো পূরণ করলে নিজেরা বসে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। একইসঙ্গে দেশজুড়ে চলমান ‘কম্প্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি আজ শনিবারও অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।

দাবিগুলো হলো- ১. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছাত্র হত্যার দায় নিয়ে জাতির জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে; ২. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবৈধ উপায়ে ব্যবহার করে ছাত্র হত্যা করার দায় নিয়ে স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে মন্ত্রী পরিষদ, দল থেকে পদত্যাগ করতে হবে; ৩. ঢাকাসহ যেসব জায়গায় শহীদ হয়েছে, সেখানকার ডিআইজি, পুলিশ কশিনার ও পুলিশ সুপারকে বরখাস্ত করতে হবে; 

৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রক্টররকে পদত্যাগ করতে হবে; ৫. যে পুলিশ সদস্যরা ‍গুলি করেছে, ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ যেসব সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা করেছে ও হামলার নির্দেশ দিয়েছে, তাদের আটক করে হত্যা মামলায় দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার দেখাতে হবে; ৬. দেশজুড়ে যেসব শিক্ষার্থী এবং নাগরিক শহীদ ও আহত হয়েছেন, তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে;

৭. ঢাবি, জাবি, চবি, রাবিসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ নামের সন্ত্রাসী সংগঠনসহ দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে ছাত্র সংসদকে কার্যকর করতে হবে; ৮. অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হল খুলে দিতে হবে এবং ৯. যেসব শিক্ষার্থী কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, তাদের কোনো ধরনের একাডেমিক-প্রশাসনিক হয়রানি না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমাদের এই প্ল্যাটফর্ম সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। এটা সত্য যে, এতে সব দল-মতের মানুষের সমর্থন ও অংশগ্রহণ আছে। কিন্তু কেউ এ ব্যানারকে সামনে রেখে তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য কোনো অপচেষ্টা, সহিংসতা, জ্বালাও-পোড়াও করলে সেটি আমরা সমর্থন করি না।

 

সর্বশেষ সংবাদ