ইডেন ছাত্রীর করা ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি ফুয়াদের আগাম জামিন

ফুয়াদ হোসেন
ফুয়াদ হোসেন  © সংগৃহীত

ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সভাপতি ফুয়াদ হোসেন। সোমবার (১ জুলাই) বিচারপতি শেখ জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ফুয়াদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. অজি উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন।

এজাহারের অভিযোগ অনুযায়ী, ইডেনে কলেজে পড়ার সময় ২০১৪ সালে বান্ধবীদের সঙ্গে টিএসসিতে আড্ডা দিতে যান বাদী। সেখানে গিয়ে ফুয়াদের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেখানে তাদের মধ্যে ফোন নম্বর বিনিময় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

বিভিন্ন জায়গায় তারা একসঙ্গে ঘোরাফেরা করছিলেন জানিয়ে এজাহারে বলা হয়, ২০১৬ সালের ২১ অগাস্ট তারা কক্সবাজার ঘুরতে যান। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদী ধর্ষণ করেন ফুয়াদ। পরদিন তারা ‘শরীয়াহ মোতাবেক’ বিয়ে করেন। 

ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন তিনি। বাদীর অভিযোগ, ২০১৯ সালে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে ভ্রুণ নষ্ট করতে বলেন ফুয়াদ। বাদী তাতে রাজি হননি। পরে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর রাতে বাদীকে ওষুধ মিশিয়ে জুস খাওয়ান ফুয়াদ। এরপর বাদী অসুস্থ হয়ে পড়েন, নষ্ট হয়ে যায় বাচ্চা।

পরে বিভিন্ন সময়ে বিয়ে রেজিস্ট্রির আশ্বাস দিয়ে বাদীর ‘ইচ্ছের বিরুদ্ধে’ ফুয়াদ ধর্ষণ করেন বলে এজাহারে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০২২ সালের মার্চ মাসে বাদী বিয়ে রেজিস্ট্রি করার জন্য ফুয়াদকে চাপ দিলে তিনি ছাত্রলীগের সম্মেলন শেষে তা সম্পন্নের আশ্বাস দেন। ওই বছর ছাত্রলীগের সম্মেলনে ফুয়াদ সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান। পরে বাদী খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, আসামি আরেকজনকে বিয়ে করেছেন।

এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৩ জানুয়ারি ফের ‘ইচ্ছের বিরুদ্ধে’ ধর্ষণ করলে ফুয়াদকে বিয়ে রেজিস্ট্রির জন্য চাপ দেন বাদী। তখন তাকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন ফুয়াদ।


সর্বশেষ সংবাদ