‘ডামি নির্বাচন’ করে সরকার ৭ দিনও টিকবে না: রাশেদ খাঁন

বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন রাশেদ খাঁন
বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন রাশেদ খাঁন  © টিডিসি ফটো

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, বিজয়ের ৫৩ বছর পরে এসেও আমাদের ভোটাধিকার, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছাড়া সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবেনা। আগামী ৭ জানুয়ারি একতরফা ‘ডামি নির্বাচন’ করে সরকার ৭ দিনও ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

রাশেদ খাঁন আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা ছিল একটি বৈষম্যহীন, মানবিক মর্যাদা, সাম্য, ন্যায়বিচারের দেশ গঠন করা। কিন্তু আমাদের প্রাপ্তি কিছু কালভার্ট, সেতু, অবকাঠামোগত উন্নয়ন। মানুষের জীবনযাত্রার কোন উন্নয়ন হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ সংকট, মূল্যস্ফীতি বাড়তেই আছে। নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে। এমতাবস্থায় সরকার একটি একতরফা ' ডামি নির্বাচন ' করতে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ একতরফা নির্বাচন মেনে নিবেনা।’

আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৫২ বছরেও অর্জিত হয়নি শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত গুণগত মান

এরপর তিনি নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে একতরফা নির্বাচন থেকে নিজেদের সরে যেতে বললেও উলটো তারা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কিন্তু এসব করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবেনা। জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে নিরস্ত্র অবস্থায় সাংবিধানিক অধিকার বলে আন্দোলন করছে।

তিনি বলেন, এই আন্দোলন থামানোর অধিকার নির্বাচন কমিশনের নেই। কেউ যদি ভোটের জন্য সভা সমাবেশ করতে পারে, আমাদেরও অধিকার আছে ভোট বর্জনের আহ্বান করার। আগামী ৭ জানুয়ারি কোনো ভোট হচ্ছে না, পাতানো নির্বাচন হবে। সুতরাং জনগণকে পাতানো নির্বাচনে ভোট প্রদানে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।

এছাড়াও সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যুব অধিকার,বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ ও বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।


সর্বশেষ সংবাদ