চাকরিতে কোটা তুলে দেয়ার পক্ষে সরকারি পর্যালোচনা কমিটি

মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম
মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম  © ফাইল ফটো

সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা তুলে দেয়ার পক্ষে সরকারি পর্যালোচনা কমিটি।  তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এমনটা জানিয়েছেন কোটা সংস্কার বা পর্যবেক্ষণে গঠিত কমিটির প্রধান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।

মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘কমিটির প্রাথমিক সুপারিশ হলো কোটা অলমোস্ট (প্রায় পুরোটাই) তুলে দেওয়া, মেধাকে প্রাধান্য দেওয়া।  তবে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় আছে যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা প্রতিপালন করতে হবে।  সংরক্ষণ করতে হবে।  যদি পদ খালি থাকে, তবে তা খালি রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার আদালতের কাছে মতামত চাইবে। যদি আদালত বাতিল করে দেন, তবে কোটা থাকবে না। আর যদি আদালত বলেন, ওই অংশটুকু (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) সংরক্ষণ করতে হবে, তাহলে ওই অংশ বাদে বাকি সবটুকু উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।  এটা হলো প্রাথমিক তথ্য।’

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী সামনে আসবে কীভাবে—এমন প্রশ্নের জবাবে শফিউল আলম বলেন, তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন, তারাও (পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী) অনেক অগ্রসর হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।  প্রথমে কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় দেওয়া হয়েছিল।  পরে সময় বাড়িয়ে আরও ৯০ কর্মদিবস দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০ শতাংশ, জেলা কোটায় ১০ শতাংশ, নারী কোটায় ১০ শতাংশ ও উপজাতি কোটায় পাঁচ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণ করা আছে। এই ৫৫ শতাংশ কোটায় পূরণযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে এক শতাংশ পদে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়োগের বিধান রয়েছে।  সেক্ষেত্রে মোট কোটা দাঁড়ায় ৫৬ শতাংশ।  বাকি ৪৪ শতাংশ পদে নিয়োগ পান মেধা তালিকায় থাকা প্রার্থীরা।


সর্বশেষ সংবাদ