অসহায়-সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে ফ্রি মোশনের ফিরোজ, আত্মতৃপ্তিই মূল উদ্দেশ্য
- মাইনুল ইসলাম
- প্রকাশ: ১৬ মে ২০২২, ০২:২৫ PM , আপডেট: ১৬ মে ২০২২, ০৩:২২ PM
মানবিক ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পরিচিত মুখ 'ফ্রি মোশন' এর ফিরোজ হাসান। এ নামটির সাথে ফেসবুক এবং ইউটিউব ব্যবহারকারী সবাই কমবেশি পরিচিত।
মানবিক সহায়তার পাশাপাশি 'ফ্রি মোশন' নামে ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউবে মানবিক ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তার শীর্ষে এখন তিনি। ভ্রমণের ভিডিও দিয়ে পেজটি শুরু করলেও বর্তমানে সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি। তার ভিডিওগুলোতে দেখা যায় সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় মানুষদের জীবনের কথা তুলে ধরতে, পাশাপাশি বিভিন্নভাবে তাদের সাহায্য করতে।
সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে এদেশে অনেক তরুণ নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন, আত্মতৃপ্তিই যাদের মূল উদ্দেশ্য। মানবতার কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া তেমনই একজন ফিরোজ হাসান।
ফিরোজ হাসান জানান, তিনি ভ্রমণ খুব পছন্দ করেন। শুরুতে ভ্রমণকালে আশেপাশের বিভিন্ন মনোরম দৃশ্য ভিডিও করে আপলোড দিতেন ফেসবুকে। পরে দেখলেন এসব ভিডিও আপলোড দিয়ে তো কারো কোনো উপকার হচ্ছে না। তারপর থেকে ভ্রমণে আসা যাওয়ার মাঝে কোনো অসহায় মানুষ, সুবিধাবঞ্চিত শিশু চোখে পড়লে যাদের সাহায্যের প্রয়োজন তার সামর্থ্য অনুযায়ী যতটা সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করেন।
এক সময় চিন্তা করলেন, এসব সাহায্যের ঘটনা ভিডিও করে করে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড দিলে আরও অনেকে অনুপ্রাণিত হবেন। সেই চিন্তা থেকেই ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি থেকে মানবসেবার দৃশ্যগুলো ক্যামেরাবন্দি করে তা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড শুরু করেন।
বর্তমানে তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে অনুসারী সংখ্যা ৪০ লাখের বেশি। ৪ মিলিয়ন মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছে ফ্রী মোশন। তার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ১০ লাখের অধিক মানুষ যুক্ত আছেন। তার চিন্তা ধারা দেশ এবং দেশের মানুষকে ভালো কিছু উপহার দেয়া, তাদের জন্য ভালো কিছু করতে পারা, এটাই তার মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, যখন কোনো অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করি তাদের মুখের হাসি আমাকে অন্যরকম এক প্রশান্তি দেয়। যেটার কোনো বিনিময় নেই। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মতো কাজ করে যেতে পারছি।
ফিরোজ হাসান চাঁদপুর থেকে এসএসসি ও এইচএসসি শেষ করে ঢাকায় আসেন। পরে ঢাকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেছেন।