ক্ষুদ্ধ জয়িতা, বললেন- এই দেশে ফটোগ্রাফারের এফোর্ট, আইডিয়া সবই সস্তা!
আলোকচিত্রী জয়িতা তৃষার নির্দেশনায় নৃত্যশিল্পী মুবাশশিরা ইরার ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া পেলেছে ছবিগুলো। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যম তৃষার অনুমতি না নিয়ে, তথ্য বিকৃত করে সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই আলোকচিত্রী। ক্ষুদ্ধ জয়িতা বলেন, এই দেশে ফটোগ্রাফারের এফোর্ট, আইডিয়া সবই সস্তা!।
আরও পড়ুন: কলকাতার সিনেমায় গান গেয়ে চমকে দিলেন চমক হাসান
সোমাবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে নিজের ফেসবুক আইডি ‘জয়িতা আফরি’ থেকে পোস্ট করে লিখেন, ভেবেছিলাম কোনো রিএকশন দেখাবোনা বা কিছুই বলবোনা। যা তামাশা হচ্ছে হোক কিন্তু এখন কিছু কথা না বলেও পারছিনা। বেশ কয়েকদিন ধরে নানারকম অনলাইন নিউজ পোর্টাল থেকে শুরু করে নিউজ পেপার ও টিভি নিউজ গুলোতে আমার তোলা ছবি দেদারসে ব্যাবহার হচ্ছে।
ছবি ব্যাবহার এর আগে অনুমতি দূরে থাক আমার নামটাও দিতে কষ্ট হয়েছে অনেকের দেখলাম অথচ এটা আমার একদম নিজের কাজ ছিলো, কেউ আমাকে পে করেনি এর জন্য। আইডিয়া টা ছিলো আমার অনেকদিনের যার জন্য সেই মডেল টাও খুঁজে বের করি আমি একজনের মাধ্যমে।
গতকাল একটি ইংরেজী দৈনিক আমার তোলা বেশ অনেকগুলো ছবি নিয়ে আমার অনুমতি ছাড়াই তাদের মনগড়া ভুল ভাল তথ্য দিয়ে সেগুলা আজকের পত্রিকায় ছাপায়। আমি খবর টা জানার পর আপত্তি জানাই তারা তখন বলে যে প্রিন্টে চলে গেছে। অথচ ছিলোনা আমার অনুমতি, এমনকি আমার নামটাও ভুল। তাদের রিপোর্টার বা তারা একটাবার আমার পারমিশনটা নেবার দরকার ভাবেনি। অথচ যে ক্যামেরাটা দিয়ে ছবি তুলি সেটা অনেক কষ্ট করে টাকা জমিয়ে কিনেছিলাম।
আরও পড়ুন: টিউশনির টাকা জমিয়ে রেস্তোরাঁ দিলেন মেডিকেলের ছাত্র
কপিরাইট কি, ফটোগ্রাফার এর কনসেন্ট নেবার প্রয়োজনীয় তা কি এইগুলি সম্ভবত এই দেশের এই জার্নালিস্ট গুলি শিখেনি বা জানেওনা। কিন্তু যে আমার এতদিন এর আইডিয়া , কষ্ট করে ছবি তোলা, ফ্রেমিংগুলি কোথায় হবে ঠিক করা, ছবি এডিট করা,সেই আমার সাথে এখন যা ঘটছে তা অপমানের ও কষ্টের। আমি কৃতজ্ঞ প্রথম আলো ও আরো এক দুইটি নিউজ পেপার এর প্রতি যারা কনসেন্ট নিয়েছেন আমার, আমার কষ্টের সেই সম্মানটুকু দিয়েছেন।
ছবি তোলার মোটিভেশন অনেক ছিলো আমার যার জন্য কাজ করতাম। কিন্তু এসব ঘটনা দেখে এখন সেই মোটিভেশন ই হারাতে বসছি। এই দেশে একজন ফটোগ্রাফার এর ভূমিকা, এফোর্ট , আইডিয়া এ সবকিছুই আসলে অনেক সস্তা!