চট্টগ্রামে ছিন্নমূল কুকুরদের পাশে শিক্ষার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ মে ২০২১, ০৯:০৪ PM , আপডেট: ০১ মে ২০২১, ০৯:০৪ PM
দেশজুড়ে চলছে সর্বাত্মক লকডাউন। রমজান মাস ও লকডাউনের ফলে দিনের বেলা বন্ধ সব রেঁস্তোরা, সেইসাথে রাস্তাঘাটেও কমেছে মানুষের পদচারণা। ফলে খাদ্য সংকটে পড়েছে হাজার হাজার পথ কুকুরেরা। অবলা এসব প্রাণী ‘লকডাউন’ বোঝে না৷ খাদ্য সংকটে এখন দিক-বিদিক ছোটাছুটি করছে এসব অবলা প্রাণী। চট্টগ্রামের হালিশহরে খাবার নিয়ে এসব অবলা কুকুর প্রাণীদের পাশে দাঁড়িয়েছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা৷ নিজেরাই রান্না করে ইফতারের পর খাবার নিয়ে ছুটছেন কুকুরদের পেছনে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ( চবি) ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ আরাফাত বলেন, লকডাউনে কুকুরদের কি হবে? গত একবছর ধরে মহামারিতে বোবা প্রাণীরা সবসময়ের মত অবহেলিত। লকডাউনে হাজার হাজার কুকুর খাবার পাচ্ছে না৷ কুকুরদের খাবার সংকট মেটাতে মানবিক জায়গা থেকে আমাদের এমন কর্মসূচি। প্রতিদিন নিজ নিজ এলাকায় আমরা এসব অবলা প্রাণীদের দু-বেলা করে খাবার দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রত্যেক এলাকায়, পাড়া-মহল্লার সব মানুষের উচিত এমন কঠিন পরিস্থিতিতে কিছুটা কষ্ট লাঘবে কুকুরদের খাবার দিয়ে পাশে থাকা।
আরেক সদস্য আদনান জাহিদ বলেন, এসব অবলা প্রাণীগুলো ‘লকডাউন’ বোঝে না। লকডাউনে আমাদের তো তাও খাবার জুটছে, তবে এসব প্রাণী তো খাবার পাচ্ছে না। রেঁস্তোরাগুলোও এখন বন্ধ। খাবার না পেলে তো না খেয়ে তারা মারা যাবে। তাই আমাদের পথে বেরিয়ে পড়া। নিজ নিজ এলাকার আশেপাশের মানুষদের সচেতন করাও এক রকম লক্ষ্য আমাদের, পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে কুকুরদের প্রাথমিক চিকিৎসাসহ ভ্যাক্সিন কার্যক্রম নিজেদের অর্থায়নে পরিচালনা করছি আমরা।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া আরেক শিক্ষার্থী রুমানা রিফাত রিমকি বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন- “জীবে প্রেম করে যেই জন/সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।” আমরা অনেকেই কুকুরকে দেখলেই ইট-পাথর ছুঁড়ে মারি। কুকুর একটা অবলা প্রাণী। এসব প্রাণীকে কিছু না করলে তারাও মানুষের কোনরকম ক্ষতি করবে না। আমাদের সকলের উচিত কুকুরদের প্রতি মানবিক আচরণ করা। লকডাউনে সবার উচিত নিজ নিজ এলাকার আশেপাশের কুকুরগুলোকে অন্তত একবেলা হলেও খাবার দেয়া।
খাবার বিতরণ চলাকালে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থী শেখ রাফায়েত, মেহেদি হাসান, আসিফুর রহমান প্রমুখ।