১৬ আগস্ট ২০২২, ১২:৩৬

বিশ্বকাপে কাতারের স্বীকৃতি পায়নি ইসরায়েল, টিকিট মিলবে ফিলিস্তিন নামে

কাতার বিশ্বকাপ  © সংগৃহীত

২০২২ কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ম্যাচের টিকিট বুকিং এবং হসপিটালিটি প্যাকেজের জন্য যে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাতে ইসরায়েলকে আলাদা দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। ফিফার হসপিটালিটি প্যাকেজ থেকে ইসরায়েলের নাম বাদ দেয়ায় মুসলিম বিশ্বের প্রসংশায় ভাসছে কাতার। তবে সমালোচনায় মেতেছে পশ্চিমা বিশ্বের গণমাধ্যম।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ জানিয়েছে, ইসরায়েলের ফুটবলভক্তদের যদি দোহায় ভ্রমণ করতে হয়, তবে তাদের দেশ হিসেবে ফিলিস্তিন অঞ্চল বাছাই করতে হবে। নাহলে টিকিট কাটাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন না তারা।

কাতার বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি করার জন্য ফিফার কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছে ‘উইন্টারহিল হসপিটালিটি’ নামের একটি কোম্পানি। নিজেদের অনলাইন স্টোরে তারা টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। কিন্তু বিশ্বকাপে যেতে ইচ্ছুক ইসরায়েলি ফুটবলভক্তরা সম্প্রতি খেয়াল করেছেন, অনলাইন স্টোরে তাদের দেশের নাম নেই। তার বদলে ‘অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল’ নামটি দেখাচ্ছে।

কাতারের এক সিদ্ধান্ত যেনো প্রশান্তি বয়ে এনেছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনে। দেশটির সাধারণ মানুষ থেকে রাজনীতিবিদ, আইনজীবী সবাই কাতারকে প্রসংশায় ভাসাচ্ছে। শুধু কি ফিলিস্তিন? মধ্যপ্রাচ্যের লাখো মুসলিম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধন্যবাদ জানিয়েছে। কারণ একটাই ফিফার অফিসিয়াল হসপিটালিটি প্যাকেজ কিনে বিশ্বকাপ দেখতে হলে ফিলিস্তিন নামে কিনতে হবে ইসরায়েলবাসীকে। এটাকে নিরব প্রতিবাদ হিসেবে দেখছেন মুসলিম বিশ্ব।

আরও পড়ুন: ফিফা কেন ভারতকে নিষেধাজ্ঞা দিল? মুক্তি যেভাবে

ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে ফিফা। বুধবার প্রথম ইসরায়েলি গণমাধ্যম এই বিষয়টি নিয়ে খবর প্রকাশ করে। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ইসরায়েলিরা। তবে আরবসহ মুসলিম বিশ্বের ফুটবল ভক্তরা এই ঘটনায় ভীষণ খুশি। তারা এটাকে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসনের নীরব প্রতিবাদ হিসেবে দেখছেন। এছাড়া কাতার সরকারকেও প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন তারা।

এর আগে বিশ্বকাপ চলাকালে সমকামিতা ও অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের বিরুদ্ধেও শক্ত অবস্থান নেয় কাতার সরকার। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম প্রধান দেশটি জানায়, সমকামী ফুটবলপ্রেমী অতিথিদের নিরাপত্তা প্রদান করতে পারবে না তারা।