২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:০১

কাতার বিশ্বকাপে থাকবে বাংলাদেশ!

কাতার বিশ্বকাপ   © টিডিসি ফটো

‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ ফুটবল বিশ্বকাপের বিশ্বমঞ্চে কখন খেলবে বাংলাদেশ সেই কথাটি কারো জানা নেই। তবে মাঠের লড়াইয়ে না থাকতে পারলেও বিশ্ব আসরে অন্য দিক থেকে ঠিকই আছে লাল-সবুজের দেশ। আসন্ন কাতার বিশ্বকাপের জার্সি তৈরী হচ্ছে বাংলাদেশে। এর আগের আসরগুলোর জার্সি তৈরিতেও বড় অবদান ছিল বাংলাদেশের।

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেরও অনন্য এক উপস্থিতি থাকবে ফিফা বিশ্বকাপে। জমজমাট আসরের মঞ্চে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত খেলোয়াড় ও দর্শকরা পরিধান করবেন ফিফা বিশ্বকাপ-২০২২ লোগো সম্বলিত জার্সি। যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্ব ও প্রশংসার।

রাশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ছয় লাখ টি-শার্ট তৈরীর অর্ডার পায় চট্রগ্রামের সনেট টেক্সটাইলে । সব প্রক্রিয়া শেষে ফিফার অনুমোদনের পর এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে টি-শার্ট উৎপাদন শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। ছয় লাখ টি-শার্টের রপ্তানিমূল্য ১৫ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৩ কোটি টাকা।

আগ্রাবাদে গোসাইলডাঙ্গা এলাকায় সনেট টেক্সটাইলে গিয়ে দেখা যায়, ফুটবল বিশ্বকাপের টি শার্টের দ্বিতীয় চালান প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। পুরুষ ও নারীদের জন্য চার রঙের টি-শার্টের মান যাচাই করে কার্টনে রাখছেন শ্রমিকেরা। সাথী আকতার নামের এক শ্রমিক প্রথম আলোকে বলেন, দুই বছর ধরে কারখানায় কাজ করছি। বিশ্বকাপ ফুটবলের অফিশিয়াল টি-শার্ট তৈরির কাজে যুক্ত থাকতে পেরে ভালো লাগছে।

আরও পড়ুন: নীলক্ষেতে আগুনে পুড়লো কোটি টাকার বই

কারখানার কর্মকর্তারা জানান, ফিফার অফিশিয়াল টি-শার্ট তৈরিতে কঠোর শর্ত মানতে হয়। কোনো টি-শার্ট বাইরে সরবরাহ করা যায় না। আবার নকশা থেকে শুরু করে সবকিছুই কোথাও হস্তান্তর করাও যায় না।

সনেট টেক্সটাইলের পরিচালক গাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, তিন লাখ টি-শার্ট গত বৃহস্পতিবার জাহাজীকরণ করা হয়েছে। আরও তিন লাখ টি-শার্ট রপ্তানির অপেক্ষায় আছে। এর আগেও তাঁদের প্রতিষ্ঠান থেকে রাশিয়া বিশ্বকাপের সময় টি-র্শার্ট সরবরাহ করা হয়।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ মাসে ২ হাজার ৯৫৪ কোটি ৮৯ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। মোট রপ্তানি আয়ের ৮১ শতাংশ এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে ২ হাজার ৩৯৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ের তুলনায় ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।

এর আগে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবলের একবিংশতম আসরে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে না পারলেও সেখানে নানাভাবে উপস্থিত থেকেছে বাংলাদেশ। অন্যতম উপস্থিতি ছিলো ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক জার্সির মাধ্যমে। এছাড়াও বাংলাদেশের তৈরী বিশ্বকাপ ফুটবলের আরো নানা অনুষঙ্গ যেমন- জ্যাকেট, টুপি, মোজা, গ্লাভস প্রভৃতি ব্যাবহার করেছে খেলোয়াড়রা।