বিমানসেনা হিসেবে আমি জানি কীভাবে স্যালুট দিতে হয়: এবাদত
অবশেষে স্বপ্ন হলো সত্যি। আজ খেলার মাঠে ইতিহাস গড়ে জিতলো বাংলাদেশ দল। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদেরকেই ৮ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়ে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। নিঃসন্দেহে এই ম্যাচের সেরা ফাস্ট মিডিয়াম এবাদত হোসেন। দীর্ঘদেহী এই পেসার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিংটা করেছেন মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে, নিয়েছেন ৬ উইকেট।
এবাদত হোসেনের আগুনঝরা বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তাই ম্যাচের বিচারকদের দৃষ্টিতেই সেরার পুরস্কার জিতে নিলেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এই সদস্য। আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পর ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে এবাদত হোসেন বলেন, ‘গত দুই বছরে ওটিস গিবসনের সঙ্গে আমি কাজ করেছি। ঘরের মাঠে কন্ডিশন সবসময় ফ্ল্যাট থাকে। আমরা এখনো বাইরে কিভাবে বল ও রিভার্স করতে হয় সেটা শিখছি। আমার সাফল্যের জন্য কিছুটা ধৈর্যও ধরতে হয়েছে।’
আরো পড়ুনঃ নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম
এদিকে খেলার মাঠে এবাদত হোসেন যখনই উইকেট নেন তখনই তিনি প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানকে উদ্দেশ্য করে স্যালুট ঠুকে দেন। তার এই সুন্দর করে স্যালুট দিয়ে আনন্দ উদযাপন নিয়ে চলছে বেশ আলোচনা।
আজ ম্যাচসেরা হওয়ার পর এবাদত জানান তার সুন্দর করে স্যালুট দেয়ার কারণ। তিনি জানান বিমান বাহিনীর সদস্য হিসেবে তিনি এই স্যালুট দিয়ে থাকেন৷ এবাদত বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্য। আমি জানি কিভাবে সুন্দর করে স্যালুট দিতে হয়। ভলিবল খেলোয়াড় থেকে ক্রিকেটে এসেছি। আমি এখন ক্রিকেটকে এনজয় করছি৷ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করছি।’
এবাদত হোসেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ভলিবল খেলোয়াড় হিসেবে খেলতেন। তিনি বিমান বাহিনীর একজন গর্বিত সদস্য।