বিসিবির দুর্নীতি খুজঁতে নিযুক্ত হচ্ছে স্বাধীন অডিট ফার্ম

বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদ
বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদ  © সংগৃহীত

শেষ হাসিনা সরকার পতনের পর সবক্ষেত্রেই পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। ক্রিকেট বোর্ডে এসেছেন নতুন সভাপতি। সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদকে বোর্ড সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গত ১২ বছরে বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠানের মতো ক্রিকেট বোর্ডেও দুর্নীতি হয়েছে। ফারুক আহমেদ দুর্নীতির কথা স্বীকারও করেছেন।

এজন্য সেরা চারটি অডিট ফার্ম থেকে একটিকে বেছে নিয়ে স্বাধীনভাবে বোর্ডের সব আর্থিক কর্মকাণ্ডের অডিট করা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির নব নির্বাচিত সভাপতি ফারুক আহমেদ। বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) মিরপুরের প্রেস কনফারেন্স রুম এক সিনিয়র সাংবাদিক অভিযোগ করেন, বিসিবিতে ইতোপূর্বে সংঘটিত দুর্নীতির কাগজপত্রে প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনের স্বাক্ষর নিয়ে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজেও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকের প্রশ্ন শুনে তার মুখে অন্ধকার নেমে আসে। 

যেহেতু সব সিদ্ধান্তে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর থাকে এবং আর্থিক বিষয়াদির সঙ্গে প্রধান অর্থ কর্মকর্তারও সংশ্লিষ্টতা থাকে, তাই বিষয়টি নিজামউদ্দিন চৌধুরীর জন্য বিব্রতকর হয়ে দাঁড়ায়। এসময় ফারুক আহমেদ সুজনের পক্ষেই কথা বলেন, ‘আমাদের সিইও (প্রধান নির্বাহী) অনেক যোগ্য। তিনি ১২ বছর ধরে সিইও। অনেক অভিজ্ঞ। এখানেও যদি কিছু পাওয়া যায় (অনিয়ম), তদন্ত না করে বলার অনুরোধ করছি। তদন্ত করে যদি কিছু পাওয়া যায়, তাকেও (প্রধান নির্বাহীকে) ছাড় দেওয়া হবে না।’

তবে দুর্নীতির কথাও স্বীকার করে নেন বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদ, ‘একজন মানুষ দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি দোষী নন। অফিসে সিইও হিসেবে কাগজে সই করতে হবে, একটা নরমাল প্র্যাক্টিস। এই অবকাঠামোগত জিনিসে ঝুঁকে পড়েছে (বিসিবি) এনএসসিকে বাইপাস করে, এটা খুব বেশি নেই। তবে কিছু দুর্নীতি তো হয়েছেই। এটা অস্বীকার করতে পারবো না।’
 
স্বাধীন অডিট ফার্ম নিয়োগের মাধ্যমে সেসবের তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান ফারুক। দুর্নীতি দমন কমিশনেরও এখানে হস্তক্ষেপ থাকতে পারে জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা একটি স্বাধীন অডিট ফার্ম খুব শিগগিরই নিয়োগ দেবো। শীর্ষ চার ফার্মের মধ্যে একটি তারা অডিট করবে। দুর্নীতি যদি হয়, তাহলে নিশ্চয়ই দুর্নীতি দমন কমিশন সেখানে হস্তক্ষেপ করবে। তবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, দুর্নীতি হয়েছে কিনা বা কতটুকু বা কী মাত্রায় হয়েছে, এটা খুঁজে বের করা।’


সর্বশেষ সংবাদ