অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে ভারত

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ভারত
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ভারত  © সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের হাইভোল্টেজ ম্যাচে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অজিরা। রোহিত শর্মা ব্যাট হতে রীতিমতো তাণ্ডব চালান। ৪১ বলে ৯২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন রোহিত। তার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে ২০ ওভারে ২০৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় ভারত। জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ২০৬ রান। জবাবে ১৮০ রানেই গুটিয়ে যায় অজিরা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৪ রানে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত।

সোমবার (২৪ জুন) অ্যান্টিগায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ২০৫ রান করেছে ভারত। বিরাট কোহলির পাঁচ বল খেলে শূন্য রানে ফিরে যান। পুরো আসর জুড়ে পুরোপুরি ব্যর্থ ভারতের এই তারকা ব্যাটার।

আরেক পাশে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন রোহিত। মিচেল স্টার্কের করা দ্বিতীয় ওভারে একাই আদায় করেন ২৯ রান। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগানো ভারতীয় অধিনায়ক ৪১ বলে ৭ চার ও ৮ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে স্টার্কের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এর মাঝে অবশ্য ঋষভ পন্তের সঙ্গে ৮৭ ও সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে ৩৪ রানের জুটি গড়েন।

রোহিত চলে যাওয়ার পর শিবাম দুবের ২৮ ও হার্দিক পান্ডিয়ার অপরাজিত ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংসে দুইশ পার  করে ভারত। এছাড়া সূর্য খেলেন ১৬ বলে ৩১ রানের ইনিংস। অজিদের হয়ে দুটি করে উইকেট পান স্টার্ক ও মার্কাস স্টয়নিস। রানবন্যার ভিড়েও ৪ ওভারে স্রেফ ১৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন জশ হ্যাজেলউড।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় অজিরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ডেভিড ওয়ার্নার (৬)। তিনে ব্যাট করতে এসে হেডকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন মিচেল মার্শ। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৬৫ রান তোলে অজিরা। তবে ২৮ বলে ৩৭ রান করে বাউন্ডারি কাটা পড়েন মার্শ। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে ২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন ট্রাভিস হেড।

এদিন ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ১২ বলে ১৯ রান করেন এই অজি অলরাউন্ডার। ৪ বলে ২ রান করে তাকে সঙ্গ দেন মার্কাস স্টোইনিস। তবে লড়াই করতে থাকেন হেড। ১৭তম ওভারে হেড ক্যাচ আউট হলে চাপে পড়ে অজিরা। ৪৩ বলে ৭৬ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। এরপর ২ বলে ১ রান এবং ১১ বলে ১৫ রান করে টিম ডেভিড আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় অজিরা।

শেষ পর্যন্ত মিচেল স্টার্কের ৪ রান এবং প্যাট কামিন্সের ৭ বলের ১১ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ওভারে ১৮১ রান তুলতে পারে অজিরা। এতে ২৪ রানের জয় পায় ভারত। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন আর্শদ্বীপ সিং। এ ছাড়াও কুলদ্বীপ যাদব দুটি, অক্ষর প্যাটেল এবং জাসপ্রিত বুমরাহ একটি করে উইকেট নেন।

বিশ্বকাপের আরেক সেমিফাইনালিস্ট এখনও নির্ধারণ হয়নি। ভারতের কাছে হারলেও এখনও সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ রয়েছে অজিদের। তবে তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশ ম্যাচের দিকে। আফগানিস্তানকে বাংলাদেশ হারিয়ে দিলে বা বড় ব্যবধানে না হারলে সেমিফাইনালের টিকিট পাবে অজিরা।

অন্যদিকে সুপার এইটে টানা দুই ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বাংলাদেশের হবে। চমক দেখিয়ে অজিদের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে বাংলাদেশের সেই স্বপ্নকে আবারও জীবিত করে আফগানরা। তাকে ভারতের কাছে অজিদের হারে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন আবারও ভেস্তে গেছে। আগামীকাল ভোরের ম্যাচে যদি আফগানিস্তানকে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ, তবে অন্য তিন দলের পয়েন্ট হবে সমান ২। তখন হিসেব করা হবে নেট রানরেরেট কে এগিয়ে।


সর্বশেষ সংবাদ