দলে না থাকায় মুশফিক দাম দেয় না: কথিত ফোনালাপে তামিম

তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম
তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম  © সংগৃহীত

তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের মধ্যকার একটি ফোনকল নিয়ে দেশজুড়ে চলছে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনা। ফোনালাপে তামিম অনেক রকম ইঙ্গিত করেছেন সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে।

এর মধ্য দিয়ে তামিম ও মুশফিকের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব চলছে এমনটি দাবি করছেন ভক্তরা। তবে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে বিস্মিত হয়েছেন। কারণ, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের দ্বন্দ্ব গত এক বছরের বেশি সময় বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ব্যস্ত রেখেছে। তাই নতুন করে মুশফিকের সঙ্গে কোনো ধরনের দ্বন্দ রয়েছে এমনটি কখনও ধারণাতেও ছিল না কারোর।

এর মধ্যেই গতকাল একটি টিভি চ্যানেল তাদের ইউটিউব চ্যানেলে এই ফোনালাপ ফাঁস করে সিটি তামিমের কণ্ঠ বলে দাবি করেছে। যেখানে তামিমকে মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। যেখানে তামিম মুশফিককে টেনে বলেছেন, ‘দলে না থাকায় মুশফিক তাকে দাম দেয় না।’

ফোনালাপটি তুলে ধরা হলো:

তামিম: ‘হ্যালো, মিরাজ?’
মিরাজ: ‘হ্যাঁ, তামিম ভাই। আসসালামু আলাইকুম।’
তামিম: ‘কী অবস্থা রে, কেমন আছিস?’
মিরাজ: ‘এই তো আলহামদুলিল্লাহ, ভাই। আপনি কেমন আছেন?’
তামিম: ‘কেমন থাকি রে? মুশফিক এটা কোনো কাজ করছে রে মিরাজ?’
মিরাজ: ‘ভাই, শুনলাম আমিও। সে জিনিসটা…  ঠিক আছে… এখন কী করবেন।’

তামিম: ‘না, এটা তো একটা... লাস্টে আমাদের… ফাইনালের পরে আমাদের মিটিংয়ে কী কথা হইছে? আমি তোরে ওই সময় একটা কথা বলছিলাম না যে আমরা চেষ্টা করব যে ৭০ থেকে ৮০ পারসেন্ট আমরা যেন সেইম টিম থাকতে পারি। ঠিক আছে? আর এই কথার আমার বেইসই ছিল তুই মুশফিক সব সহ। ঠিক না?’
তামিম: ‘মুশফিক আমার জন্য ইম্পর্ট্যান্ট একজন ছিল। সে করছেটা কী শোন। সে আমার সাথে তো কথা বলেই নাই বলেই নাই, সে বলে এখন আলাদা একটা টিম বানাচ্ছে। শুনছস এটা?’
মিরাজ: ‘আমি একটু হালকা একটু শুনেছিলাম বাট হান্ড্রেড পারসেন্ট কনফার্ম ছিলাম না। বাট আপনি এখন যেটা বললেন আমি তো এখন হান্ড্রেড পারসেন্ট শিওর হলাম যে ভাই মনে হয় আলাদা টিম বানাচ্ছে।’

তামিম: ‘না, ভাই মিরাজ, তুই দেখছস… আমি ওরে কী ধরনের ফ্রিডম দিছি পুরা টিমে, হ্যাঁ? আমি ওরে দায়িত্ব দিছি পুরা টিম চালানোর। খেলা শেষ হইছে, খেলা শেষে আমি সবচেয়ে বেশি ওরে প্রেইজ করছি। আমি এখন পর্যন্ত ওরে প্রেইজ করি যে সে পুরা টিমটা হ্যান্ডেল করছে, তার কন্ট্রিবিউশনটা কত বেশি। সে এই মুহূর্তে আমাকে এইরকম মাঝপথে ছেড়ে যাওয়াটা কি উচিত ছিল?’
মিরাজ: ‘এখন কী করবেন ভাই? এখন ভাই গেছে। এখন সে তো আপনারই ফ্রেন্ড।’
তামিম: ‘আরে না। এখন তোদের সাথে নাই, খেলি না তো ন্যাশনাল টিমে, এখন অনেকের অনেক ভাবটাব বেড়ে গেছে। এটা হলো সমস্যা। ঠিক আছে।’
মিরাজ: ‘ভাই?’

তামিম: ‘কারণ হলো, যখন তোদের সাথে খেলতাম, ক্যাপ্টেন থাকলে তো আর এরকম তোরা করতে পারতি না। এখন আমার দাম নাকি, দাম কমে যাচ্ছে দেখে তোরা এসব করতেছস। ’
মিরাজ: ‘ভাই শোনেন… রাগ কইরেন না। প্লিজ। কারণ কী ভাই, আপনি তো জানেন মুশফিক ভাই সম্পর্কে। সে তো একটু ইমোশনাল। হতো ইমোশনাল হয়ে…’
তামিম: ‘ছোটবেলা থেকে ও আমার ফ্রেন্ড। ও একবার আমাকে অ্যাটলিস্ট বলত চলে যাওয়ার আগে। অ্যাটলিস্ট তখন তো আমার একটু শান্তি হইতো যে, না অ্যাটলিস্ট বলে গেছে। অসুবিধা নাই মিরাজ। সময় আমারও তো আসবে। পৃথিবী গোল কিন্তু… শুনে রাখ মিরাজ। একটা কথা শোন… পৃথিবী গোল… আজকে তুই ওই সাইড, আমি এই সাইড। কালকে আমি ওই সাইডে বসব, তুই ওই সাইডে আসবি। ভুলে যাইস না। আর তোর বড় ভাইরেও বলে দিস।’
মিরাজ: ‘ভাই আপনি রাগ কইরেন না, ঠান্ডা হন। আমি দরকার হলে ভাইয়ের সাথে…’

তামিম: ‘তুই দেখ আমি কী করি। আমি কথা কব নে তোর সাথে। এ ব্যাপারে কথা কব। জিনিসটা, কাজটা ও কোনোভাবেই ঠিক করে নাই।’
মিরাজ: ‘না ভাই, কিছু করার দরকার নাই। কিছু করার দরকার নাই।’
এ পর্যায়ে কল কেটে যাওয়ার আওয়াজ পাওয়া যায়। 

এমন এক ফোনালাপ কীভাবে ফাঁস হয়, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে ফোনালাপ কাটা থেকে বোঝা যায়, ফাঁস হলে তা মিরাজের প্রান্ত থেকে হয়েছে। পরে একটি সূত্র জানিয়েছে, এই কথিত ফাঁস হওয়া ফোনালাপটি আসলে একটি মোবাইল ফোন ভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের অংশ। 

এদিকে, ফোনকল ফাঁসের বিষয় নিয়ে আজ সন্ধ্যা ৭টায় লাইভে আসবেন তামিম। বুধবার (২০ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে করা পোস্টে এ ঘোষণা দেন তামিম। 

আজ ৩৫ বছরে পা দিয়েছেন দেশের অন্যতম সেরা এই ওপেনার। এ বিষয়েও ভক্তদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। তার ফেসবুক পোস্টটিতে তিনি লেখেন, ‘‘জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আমাকে মনে রাখার জন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। গতকাল থেকে একটা ফোনকল নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। আজ সন্ধ্যা ৭টায় লাইভে আসছি।’’


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence