১১ আগস্ট ২০২৩, ১৪:৩৬

এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে টাইগারদের অধিনায়ক সাকিব

সাকিব আল হাসান  © ফাইল ছবি

এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সাকিব আল হাসানকে ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগে থেকেই তিনি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বে আছেন। তিন ফরম্যাটেই এবার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। 

 শুক্রবার (১১ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে সাকিবকে ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ৩ আগস্ট বিসিবির সঙ্গে বৈঠক শেষে পাপনের বাসভবনের গ্যারেজে সংবাদ সম্মেলন করে স্বেচ্ছায় অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল।

আরও পড়ুনঃ অধিনায়কত্ব ইস্যুতে যা বললেন লিটন

বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের আগ-মুহূর্তে তামিমের এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে অল্প দিনেই সংকট নিরসনে সিদ্ধান্তে পৌঁছান নাজমুল হাসান পাপন। সময় না নিয়ে দ্রুতই নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করে দেয় বিসিবি। একাধিক নাম ঘিরে গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত সাকিবেই আস্থা ক্রিকেট বোর্ডের। 

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মাশরাফি বিন মর্তুজা ইনজুরিতে পড়ায় সাকিবকে সহ অধিনায়ক থেকে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয়। প্রথম অ্যাসাইনমেন্টেই নিজেকে প্রমাণ করে পরের সিরিজেই হন ভারমুক্ত। এসময় ২ বছর দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। 

২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের পর সাকিবকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এর ৬ বছর পর ২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গেলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে আবারও নেতৃত্বে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। 

একই বছরে মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো টেস্ট ফরম্যাটেও অধিনায়কের দায়িত্ব পান তিনি। এরপর ২০১৯ সালে আইসিসি কর্তৃক একই বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়ে সাকিব দ্বিতীয় দফায় নেতৃত্ব হারান। 

এরপর ২০২২ সালের জুনে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে আবারও দলের নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। মাস কয়কে পরেই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বও পান তিনি। এবার পেলেন ওয়ানডের অধিনায়কত্ব। তাতে প্রায় এক যুগ পর আবারও তিন ফরম্যাটে সাকিবের নেতৃত্বে খেলবে বাংলাদেশ। 

টেস্ট ক্রিকেটে তিন দফায় ১৯ ম্যাচে টাইগারদের নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। যেখানে ৪ জয়ের বিপরীতে হেরেছে ১৫ টেস্ট। ওয়ানডেতে দুই দফায় ৫০ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করে সাকিব ২৩ জয়ের বিপরীতে হারে ২৬ ম্যাচ। কোনো ফলাফল আসেনি বাকি একটি ম্যাচে। 

আর টি-টোয়েন্টিতে তিন দফায় সাকিবের নেতৃত্বে ৩৯ বার মাঠে নেমে বাংলাদেশ ২৩ হারের বিপরীতে ১৬ বার হাসি মুখে মাঠ ছাড়ে।