০৭ জুলাই ২০২৩, ১৮:২১

আফগানিস্তান সিরিজে নয়, এশিয়া কাপে ফিরবেন তামিম

মাশরাফির সেলফিতে প্রধানমন্ত্রীর সাথে স্ত্রীসহ তামিম ইকবাল  © ফেসবুক হতে সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার পর অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবাল। আজ শুক্রবার (৭ জুলাই) গণভবন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

তবে অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেও আফগানিস্তান সিরিজে তামিমকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। আপাতত দেড় মাসের বিশ্রামে যাচ্ছেন এ ক্রিকেট তারকা। দেড় মাসের বিশ্রাম শেষে মাঠে ফিরবেন এশিয়া কাপে।

এর আগে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলতে তামিম ইকবালকে ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ দুপুর ৩টার দিকে গণভবনে প্রবেশ করেছেন তামিম ইকবাল। এ সময় তার সাথে ছিলেন তামিম ইকবালের পরিবারের একজন সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তাজা এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। 

আরো পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার তামিমের

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) অনেকটা হঠাৎ করেই ১৬ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারকে বিদায় জানান বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ওপেনার হিসেবে খ্যাত তামিম ইকবাল। চট্টগ্রামের এক হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অশ্রুসিক্ত নয়নে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন এ তারকা।

সংবাদ সম্মেলনে এমন আকস্মিক সিদ্ধান্তের কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ জানাননি তামিম। তবে অনেকেই ধারনা করছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের সাম্প্রতিক বক্তব্যই তাঁকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। তামিম নিজেও নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, বোর্ড সভাপতির বক্তব্যে তাঁর মনে হয়েছে দলে হয়তো এখন আর সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রয়োজন নেই।

এদিকে, তামিমকে অবসর থেকে ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে বোর্ডও। কাল রাতে ঢাকায় বোর্ড পরিচালকদের এক জরুরি সভার পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সকাল (কাল) থেকে ওকে চেষ্টা করেছি, পাচ্ছি না। নাফিস ইকবালের মাধ্যমেও পাইনি। আমার সঙ্গে এখন অবধি যোগাযোগ হয়নি। আমি নাফিসের কাছে একটা মেসেজ পাঠাই, ওর সংবাদ সম্মেলনের পর। আমি বলেছি আমি চাই তামিম অধিনায়ক হিসেবে এই সিরিজ শেষ করুক। এরপর আমরা বসে ঠিক করব কী করা যায়। তার মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটারের এমন করা ঠিক হচ্ছে না। তার দলে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর দেশের হয়ে ৭০টি টেস্ট, ২৪১টি ওয়ানডে এবং ৭৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তামিম। ২৫টি সেঞ্চুরি এবং ৯৪টি হাফ সেঞ্চুরিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজারের বেশি রান করেছেন বাঁ-হাতি এ ওপেনার।

তামিম ইকবালই একক বাংলাদেশী হিসেবে সীমিত ওভারের সংস্করণে সর্বোচ্চ রানের মালিক এবং একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই সেঞ্চুরির অধিকারী। এছাড়াও তামিম ইকবাল একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২০টি সেঞ্চুরির অধিকারী এবং প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ হাজার রান করেন। বর্তমানে তিনি টেস্ট, ওডিআই ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে বাংলাদেশী হিসেবে সর্বোচ্চ রানের অধিকারী খেলোয়াড়।