একদিনে দুই তারকার জন্মদিন—একজনের ৩৮, অন্যজনের ৩১
বর্তমান সময়ের বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম দুইজন সেরা খেলোয়াড় রোনালদো-নেইমারের আজ সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জন্মদিন। রোনালদো পা রাখলেন ৩৮ এ। আর ফরাসি ক্লাব পিএসজির ফরোয়ার্ড ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার নেইমার পা রাখলেন ৩১ এ। বিশ্ব ফুটবলে সর্বাধিক পরিচিত এই দুই খেলোয়াড়ের রয়েছে অসংখ্য ভক্ত ও অনুরাগী। দুজনেই পরিচিত তাদের নৈপুণ্য ও পায়ের পায়ের ক্ষমতার জন্য।
পর্তুগালের মাদেইরা শহরে ১৯৮৫ সালে ক্রিশ্চিয়ানা রোনালদোর জন্ম। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের সঙ্গে মিল রেখে মা-বাবা তার নাম রাখেন রোনালদো। ছোটবেলায় ছিলেন অত্যন্ত গোবেচারা, নিরীহ প্রকৃতির। শৈশবে সমবয়সী নয়, খেলতে পছন্দ করতেন বড়দের সঙ্গে। বড়দের সঙ্গে খেলার সময় অনেক বেশ লাথি খেতে হতো। তবুও হতোদ্যম হতেন না। ছোটবেলা থেকেই অনুভব করতেন ফুটবলার হতে হবে।
ফুটবলার হওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়েই মাত্র ১২ বছর বয়সে খেলা শুরু করেন স্পোর্টিং দ্য লিসবোয়াতে। একপর্যায়ে মাদেইরা থেকে পরিবার-পরিজন ছেড়ে চলে আসেন। এরপর কেবলই এগিয়ে চলার গল্প। ২০০৩-এ যোগ দিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। সেখানে ছয় বছর কাটিয়ে ২০০৯-এ গায়ে চাপালেন রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি। এরই মধ্যে পাঁচটি ব্যালন ডি অরের শিরোপা নিজের করে নিয়েছেন সময়ের সেরা এই তারকা। টানা ২০ বছর ইউরোপের ক্লাব ফুটবল মাতিয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবার এশিয়ার ফুটবলে। বর্তমানে যোগ দিয়েছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল-নাসরে।
ইউরোপের ৪টি ক্লাবে কাটিয়েছেন ২০ বছর। ৫ বার জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ, ৭ বার লিগ। ব্যালন ডি অর পুরস্কার জিতেছেন ৫ বার।
অন্যদিকে ব্রাজিলের কিংবদন্তীদের মধ্যে অন্যতম খেলোয়াড় নেইমার ডা সিলভা সান্তোস জুনিয়র। তার জন্ম ১৯৯২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। তিনি সাধারণত নেইমার নামেই পরিচিত। একজন ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবলার, যিনি ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন এবং ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে একজন ফরোয়ার্ড বা উইঙ্গার হিসেবে খেলেন। তাকে আধুনিক বিশ্বের উদীয়মান ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম মনে করা হয়। মাত্র ৯ বছর বয়সে পেলের স্মৃতিবিজড়িত ক্লাব সান্তোসে নাম লেখান।
আরও পড়ুন: দেশি খেলোয়াড়দের ক্রিকেটজ্ঞান কম, কমনসেন্স নেই: কোচ সালাউদ্দিন
নেইমার ১৯ বছর বয়সে ২০১১ এবং ২০১২ সালে দক্ষিণ আমেরিকার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে নেইমার ফিফা ব্যালন ডি’অরের জন্য মনোনয়ন পান, তবে ১০ম স্থানে আসেন। তিনি ফিফা পুরস্কারও অর্জন করেন। ২০১৩ মৌসুমে সান্তোসের সঙ্গে গাঁটছড়া ছিন্ন করে যোগ দেন স্বপ্নের ক্লাব বার্সেলোনায়। ২৩ বছর বয়সে টপ স্কোরার হয়ে বার্সাকে উচল জিতিয়েছে। ২৪ বছর বয়সে ব্রাজিলকে প্রথম অলিম্পিক জিতিয়েছে। ২৫ বছর বয়সে রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে পিএসজি জয়েন করে লীগ ওয়ানের বেস্ট প্লেয়ার হয়েছে। ২৮ বছর বয়সে পিএসজিকে প্রথমবারের মত উচল ফাইনালে নিয়ে গেছে। ৩০ বছর বয়সে ব্রাজিলের অল টাইম টপ স্কোরার ও এসিস্টার হইছে।
তিনি সর্বাধিক পরিচিত তার ত্বরণ, গতি, বল কাটানো, সম্পূর্ণতা এবং উভয় পায়ের ক্ষমতার জন্য। তার খেলার ধরণ তাকে এনে দিয়েছে সমালোচকদের প্রশংসা, সাথে প্রচুর ভক্ত, মিডিয়া এবং সাবেক ব্রাজিলীয় ফুটবলার পেলের সঙ্গে তুলনা।বর্তমানে ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে ফরাসি ক্লাব পিএসজির জার্সিতে মাঠ মাতাচ্ছেন এই তারকা সেলেসাও ফুটবলার।