সেমিফাইনালে কখনো হারেনি আর্জেন্টিনা

সেমিফাইনালে কখনো হারেনি আর্জেন্টিনা
সেমিফাইনালে কখনো হারেনি আর্জেন্টিনা  © সংগৃহীত

বিশ্বকাপ থেকে দুই পা দূরে আর্জেন্টিনা। গ্রুপ পর্বে যেখানে সমীকরণের মারপ্যাঁচ। সেখানেই তাদের নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল অনেক। আলবিসেলেস্তেরা এখন শেষ চারে। সেখানে জিতলে পৌঁছাবে ফাইনালে। সেই ফাইনালে পৌঁছানোর ভবিষ্যৎ নিয়ে আর্জেন্টিনার ভক্তদের চিন্তার অন্ত নেই। যদিও ইতিহাস বলছে—সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে আর্জেন্টিনাই জিতবে। এবার নিয়ে মোট পাঁচবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা। এর আগের চারবারের একবারও সেমি থেকে বিদায় নেয়নি লাতিন এই পরাশক্তিরা।

আগামী মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে নামবে আর্জেন্টিনা। যেখানে একাই পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। সেমিফাইনাল মানেই যে আর্জেন্টিনা ফেবারিট।

বিশ্বকাপ শিরোপার খরা কাটাতে ফেবারিট হিসেবে কাতারে পা রেখেছিল আর্জেন্টিনা। তবে প্রথম ম্যাচেই অপেক্ষাকৃত কম শক্তির সৌদি আরবের সঙ্গে হেরে যাই আলবেলেস্তেদেরা। শুরু হয় সমালোচনা। তবে দেখিয়ে ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছে মেসিরা। তৃতীয় বিশ্বকাপে শিরোপা থেকে এখন মাত্র দুই ধাপ দূরে তারা। সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারাতে পারলেই ফাইনালে উঠে যাবে স্কালোনির শিষ্যরা।

ইতিহাস বলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আলবিসেলেস্তেরা বরাবরই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। কারণ, কাতার বিশ্বকাপের আগে এখন পর্যন্ত চারবার সেমিফাইনাল খেলেছে আর্জেন্টিনা। যেখানে একবারও হারেনি তারা।

বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম আসরেই সেমিফাইনালে খেলে আর্জেন্টিনা। এরপর ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে, ১৯৯০ সালের ইতালি বিশ্বকাপে এবং ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপে।

১৯৭৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হলেও সেবার সেমিফাইনাল ছিল না। আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত সে আসরে প্রথমে ১৬ দল ৪ গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলে। সেই চার গ্রুপের সেরা আট দল দ্বিতীয় রাউন্ডে দুই গ্রুপে ভাগ হয়। এই দুই গ্রুপের সেরা দুই দল খেলে ফাইনাল। সেই হিসেবে বিশ্বকাপে পাঁচবার ফাইনাল খেললেও চারবার সেমিফাইনাল খেলেছে আর্জেন্টিনা। ১৯৭৮ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জেতে ম্যারাডোনার দল।

১৯৩০ সালে অনুষ্ঠিত ইতিহাসের প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপে ফেবারিট ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেই যুক্তরাষ্ট্রকে ৬-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে আর্জেন্টিনা। উরুগুয়েতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে তখন কেউ চিন্তাই করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে দেবে আর্জেন্টিনা।

আরও পড়ুন: মেসিকে নিয়ে ভয়ের কিছু নেই: ক্রোয়েশিয়া কোচ

১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে বেলজিয়ামকে একাই গুঁড়িয়ে দেন ম্যারাডোনা। তার দুই গোলের সুবাদে সেমিতে বেলজিয়ামকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে আর্জেন্টিনা। সেই বিশ্বকাপেই ম্যারাডোনাকে চেনে পুরো বিশ্ব, আর সেই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল আর্জেন্টিনা।

১৯৯০ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ইতালির বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছিল আর্জেন্টিনা। তবে টাইব্রেকারে ইতালিকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে তারা। যদিও ফাইনালে জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরে গিয়েছিল তারা।

২০১৪ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টাইব্রেকারে জিতে ফাইনালে উঠেছিল মেসির দল। সে ম্যাচে ১২০ মিনিটে কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচটি টাইব্রেকারে গড়িয়েছিল। সে বিশ্বকাপেও ফাইনালে জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল মেসির আর্জেন্টিনা।

গতবারের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে আর্জেন্টাইনরা এবারও চাইবে সেই ধারা অব্যাহত থাকুক। সোনালী ট্রফি আরো কাছে চলে যাক চলে যাক লিওনেল স্কালোনির র্শীর্ষরা।


সর্বশেষ সংবাদ