ইনজুরিতে পড়ে সারারাত কেঁদেছি: নেইমার
বিশ্বকাপে শেষ আট নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। নকআউটে দক্ষিণ কোরিয়া বিপক্ষে ৪-১ গোল ব্যবধানে জয় পেয়েছে সেলেসাওরা। শেষ ষোলোর ম্যাচে পেনাল্টি থেকে গোল করেছেন ব্রাজিল দলের পোষ্টার বয় নেইমার জুনিয়র। বিশ্বকাপে শুরুটা হয় দুর্দান্ত, প্রথম ম্যাচেই সার্বিয়ার রক্ষণে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন নেইমার। সেই ম্যাচ জয় দিয়ে শেষ করেছিল ব্রাজিল। তবে বিপত্তি বাধে ইনজুরি। সার্বিয়ার বিপক্ষে পাওয়া চোটের পর রাতভর কেঁদেছিলেন ব্রাজিলের এই তারকা।
ইনজুরি থেকে ফিরে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেই ছন্দ ছিলেন নেইমার। করেছেন গোলও। অবদান রেখেছেন বাকি গোলগুলোতেও। নেইমার আশাবাদী সব পর্ব পেরিয়ে ব্রাজিল জয় করে নিবে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ।
শিরোপাযাত্রায় এই ইনজুরি বাধা কাঁদিয়েছে পিএসজির এই ফরোয়ার্ডকেও। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেই রাতের কথা তুলে ধরতে ভুলেননি তিনি। নেইমারের এই ইনজুরি শুধু যে সমর্থকদের কষ্ট দিয়েছিল তা নয়, বরং স্বয়ং নেইমারকেও দিয়েছে কষ্ট।
নেইমার বলেন, ‘আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম। আমি খুব ভালো একটা মৌসুম কাটাচ্ছিলাম। ভালো ফর্মে ছিলাম। আমি সেই রাতে অনেক কেঁদেছিলাম। আমার পরিবার জানে। তবে এখন ঠিক হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলের কাছে হেরে দ.কোরিয়ার কোচের পদত্যাগ
পরেরদিন চিকিৎসকের সঙ্গে সকাল ১১টা পর্যন্ত চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া, বাকি দিনগুলোতে ৫-৬টা পর্যন্ত থেকে কষ্ট করা কাজে দিয়েছে। সবশেষে আমরা যেন মুকুট পরতে পারি, ভালো কিছু যেন হয়।
২০১৪ সালের সেই কালো রাত ফিরে আসার শঙ্কায় পড়েছিলেন নেইমার। দারুণ ফর্মে থেকে আরেকটি বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার কিনারে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। তবে সব সামলে ঘুরে দাঁড়াতেও দেরি করেননি। প্রচণ্ড পরিশ্রম করে নিজেকে নকআউট পর্বের আগেই প্রস্তুত করে ফেলেন তিনি।
উল্লেখ্য,ব্রাজিলের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের তিন ভিন্ন আসরে গোল করার অনন্য কীর্তি গড়েছেন নেইমার। এর আগে এই রেকর্ড গড়েছিলেন রোনালদো ও পেলে। নেইমার ২০১৪ এবং ২০১৮ বিশ্বকাপে দলের হয়ে গোল করেছিলেন। ২০১৪ সালে চারটি ও ২০১৮ সালে দুই গোল করেছিলেন। এবার কাতারের মাটিতেও নক-আউটে এসে গোলের দেখা পেলেন নেইমার।
পেলে ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬ ও ১৯৭০ সালে গোল করেছিলেন। রোনালদো গোল করেছেন ১৯৯৮, ২০০২ ও ২০০৬ সালে।