বিশ্বকাপের ফাইনালে চোখ রাঙাচ্ছে বৃষ্টি, আইন কী বলে
আগামী রোববার (১৩ নভেম্বর) মেলবোর্নে শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান। পুরো ক্রিকেটবিশ্ব জমজমাট ফাইনালের অপেক্ষা করছে। দুটি দলই ফাইনালে গেছে সেমিফাইনালের দাপুটে জয়ে। ফলে ফাইনালে রোমাঞ্চকর এক লড়াই দেখার আশা করাই যায়। তবে বৃষ্টি জল ঢেলে দিতে পারে সব রোমাঞ্চে। এবারের বিশ্বকাপে বেশকিছু ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হয়েছে। আবার কিছু ম্যাচের ফলাফল হয়েছে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে।
অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, রোববার (১৩ নভেম্বর) বিশ্বকাপের ফাইনালের দিন মেলবোর্নের বৃষ্টি সম্ভাবনা শতভাগের কাছাকাছি। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী রোববার মেলবোর্নে ১৫ থেকে ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টির ৯৫ শতাংশ সম্ভাবনা আছে। বজ্রপাতের সঙ্গে মুষলধারে বর্ষণও হতে পারে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়ার কথা ম্যাচটি।
বিশ্বকাপের ফাইনালে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে কী হবে?
প্রাথমিকভাবে চেষ্টা করা হবে রোববারই খেলা চালানোর। বিশ্বকাপের নক-আউট ম্যাচগুলোর জন্য একটি করে রিজার্ভ ডে রেখেছে আইসিসি। তাই রোববার ফাইনাল না হলে সেটা পরদিন সোমবার মাঠে গড়াতে পারে। কিন্তু সেদিনও মেলবোর্নে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৯৫ শতাংশ! নিয়মানুযায়ী নক-আউট পর্বের ফলাফল হতে কমপক্ষে ১০ ওভার খেলা হতে হবে। তাই রোববারই ওভার কমিয়ে খেলা শেষ করার চেষ্টা করা হবে।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ দল ঘোষণা
যদি রোববার খেলা শেষ করা না যায়, তাহলে যে পর্যন্ত খেলা হবে, পরদিন রিজার্ভ ডেতে ওই জায়গা থেকেই পুনরায় খেলা শুরু হবে। আর যদি খেলা সম্ভব না হয়, তাহলে পরদিন পুরো ২০ ওভার খেলা হবে। এমনিতে ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩০ মিনিট বেশি বরাদ্দ থাকে। আর রিজার্ভ ডেতে বরাদ্দ রাখা হবে বাড়তি দুই ঘণ্টা। দুই দিন মিলিয়েও যদি খেলা সম্ভব না হয়, তাহলে দুই দলের মাঝে ট্রফি ভাগ করে দেওয়া হবে।
২০০২-০৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। সেবারও ফাইনালে রিজার্ভ ডে ছিল, তবে শ্রীলঙ্কা ইনিংসে ৫০ ওভার হলেও ভারতের ২ ওভার ব্যাটিংয়ের পরই বন্ধ হয়ে যায় খেলা। যেটি শুরু হতে পারেনি আর।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালটি হয়েছিল দুই দিন মিলিয়ে।