টি-২০ বিশ্বকাপে নজরে থাকবে যে পাঁচ ক্রিকেটার
আগামী ১৬ই অক্টোবর থেকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শুরু হতে চলেছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় কার্নিভাল আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এইবারের প্রতিযোগিতাটি এই জনপ্রিয় ইভেন্টের অষ্টম সংস্করণ। ইতিমধ্যে দুইবার এই ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটের বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অন্যদিকে ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়া একবার করে এই শিরোপা জয়ের স্বাদ নিতে পেরেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের মতো বড় ক্রিকেট খেলা দেশগুলি এখনও এই ট্রফির ছুয়ে দেখা হয়ে উঠেনি।
অস্ট্রেলিয়ায় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাল করতে পারে-এমন পাঁচ ক্রিকেটারকে বেছে নিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
১. ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া) : গত আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন ওয়ার্নার। শীর্ষে ছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। ৭ ম্যাচে ২৮৯ রান করা ওয়ার্নাারের স্ট্রাইক রেট ছিলো ১৪৭এর কাছাকাছি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত গত বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখেছেন ওয়ার্নার। ওয়ানডে ফর্মেটে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হলেও গত বছর প্রথমবারের মত সংক্ষিপ্ত ভর্সনের শিরোপা জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। ঘরের মাঠে সবসময় দারুন ছন্দে থাকেন ওয়ার্নার। এবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার বড় অস্ত্র হয়ে উঠবেন ওয়ার্নার।
২. হাসারাঙ্গা ডি সিলভা (শ্রীলংকা) : বড় মঞ্চে জ্বলে উঠার প্রমান ইতোমধ্যে দিয়েছেন শ্রীলংকার স্পিনার হাসারাঙ্গা ডি সিলভা। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠেয় আগামী বিশ্বকাপে আধিপত্য বিস্তার করবেন হাসারাঙ্গা। গত বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন হাসরাঙ্গা। ৮ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। গেল মাসে শেষ হওয়া এশিয়া কাপেও নিজের সামর্থ্যের প্রমান দিয়েছেন হাসারাঙ্গা। ব্যাট হাতে ৬৬ রান ও ৯ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরার খেতাব পান তিনি। । শ্রীলংকার এশিয়া কাপ জয়ের নায়ক হিসেবে সামনের সারিতে নাম আছে হাসারাঙ্গার। অস্ট্রেলিয়ার বড় মাঠে বাড়তি সুবিধা পাবেন ২৫ বছর বয়সী হাসারাঙ্গা। তাই এ বছরও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের দৌঁড়ে থাকবেন তিনি।
আরও পড়ুন: ৫ মিনিটেই হ্যাটট্রিক করলেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার পেড্রো
৩. জস বাটলার (ইংল্যান্ড) : বর্তমানে ইনজুরির সাথে লড়াই করছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জশ বাটলার। বিশ্বকাপের আগে বাটলারের সুস্থতার অপেক্ষায় আছেন ২০১০ সালে শিরোপা জয় করা ইংল্যান্ড। গত ১২ মাসে বাটলারের চেয়ে ভালো ফর্মে ছিলো না আর কোন ব্যাটার। গত আসরের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান বাটলার। শ্রীলংকার বিপক্ষে শারজাহতে অপরাজিত ১০১ রান করেন বাটলার।আর এ বছর আইপিএলে ব্যাট হাতে রাজকীয় ফর্মে ছিলেন বাটলার। এক আসরে চারটি সেঞ্চুরি করেন তিনি। রাজস্থান রয়ল্যাসের হয়ে ৮৬৩ রান করেছিলেন তিনি। গত জুলাইয়ে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে হওয়া সিরিজে ছন্দে ছিলেন না বাটলার। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দিয়ে আবারও চেনা রুপে বাটলার ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
৪. সূর্যকুমার যাদব (ভারত) : এ বছর সূর্যকুমার যাদবের উত্থান চোখে পড়ার মত ছিলো। দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তিনি। এ বছর এখন পর্যন্ত টি-২০তে সর্বোচ্চ রান তার। বিশ্বকাপে ভারতের তরুপের তাস হবেন সূর্য। গত বছরের টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে মাত্র চারটি ম্যাচ খেলেছিলেন সূর্য। ব্যাট হাতে মাত্র ৪২ রান করেছিলেন তিনি। ঐ আসরে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি সূর্য। ঐ বিশ্বকাপের পর থেকে ধারাবাহিক ৩২ বছর বয়সী সূর্য। এ বছরের সর্বোচ্চ রানের মালিক তিনি। ফলে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: রেকর্ড গড়ে কোহলিকে ছুঁলেন বাবর
৫. মোহাম্মদ রিজওয়ান (পাকিস্তান) : গত বছর থেকে টি-২০ ফরম্যাটে সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটার পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান। গেল বছর ২৯ ম্যাচে ১৩২৬ রান করেছিলেন তিনি। এ বছর ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আইসিসি র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ব্যাটার রিজওয়ান। পাকিস্তানের শিরোপা জয় অনেকাংশেই নির্ভর করবে টপ-অর্ডারে রিজওয়ানের ব্যাটিংয়ের ওপড়। গেল আসরেও বিশ্বকাপে দারুন পারফরমেন্স প্রদর্শন করেছেন তিনি। গেল বছর টি-২০ বিশ্বকাপে তিনটি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৭০ গড়ে ২৮১ রান করেন রিজওয়ান। তার চেয়ে বেশি রান করেছিলেন ওয়ার্নার ও সতীর্থ বাবর।