কাতার বিশ্বকাপের আগে র্যাঙ্কিংয়ে কার অবস্থান কত
বিশ্বকাপের বাকি মাত্র সাত সপ্তাহ। কাতার বিশ্বকাপের বাঁশিতে ফু পড়ে গেছে। ফুটবলারদের দায়িত্ব এখন নিজেদের বাঁচিয়ে খেলা। আর কোচদের দায়িত্ব বড় ম্যাচের জন্য কিছু মাস্টার প্ল্যান করে ফেলা।
সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ভালো ফুটবল খেলেনি। তারপরও বিশ্বকাপ পাওয়ার র্যাঙ্কিংয়ে দাপট তাদের। কাতার বিশ্বকাপে উচ্চারিত নাম ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। ভালো ফুটবল খেলছে দু’দলই। আছে তারকা খেলেয়াড়ের প্রাচুর্য। সংবাদ মাধ্যম গোলের করা পাওয়ার র্যাঙ্কিংয়ে কর্তৃত্ব তাদেরও।
১. ব্রাজিল: বিশ্বকাপ পাওয়ার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছে ব্রাজিল। ঘানা এবং তিউনিসিয়ার বিপক্ষে তারা যেভাবে জিতেছে, ওই ছন্দ বিশ্বকাপে দেখাতে পারলে তিতের দলকে আটকায় কে! দলটা তারকা খেলোয়াড়ে ভরপুর। চিন্তা শুধু ইউরোপের দলের সঙ্গে প্রস্তুতি না হওয়া।
২. ফ্রান্স: ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে চারে থাকলেও গোলের পাওয়ার র্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে আছে ফ্রান্স। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের শেষ ছয় ম্যাচে জয় মাত্র একটি। হার তিন ম্যাচে। তারপরও বেনজেমা-এমবাপ্পে-ডেম্বেলের আক্রমণ ঠেকাতো এবং কুন্দে-কোনাতে-ভারানে-থিও’দের রক্ষণ ভাঙা সহজ কাজ নয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আগে ভারতশিবিরে বড় দুঃসংবাদ
৩. আর্জেন্টিনা: লিওনেল মেসি ফিট এবং ফর্মে আছেন। আর্জেন্টিনার দলটা এক সুতোয় গাঁথা। কোচ স্কালোনি তার কৌশল দিয়ে আস্থা অর্জন করেছেন। দলটি হারের স্বাদ ভুলে গেছে। তবে কোচের চিন্তা সম্ভবত পোল্যান্ড ম্যাচ এবং রবার্ট লেভানডভস্কিকে নিয়ে। ওটামেন্ডি বার্সা তারকা লেভাকে আটকাতে পারবেন কিনা, তার জায়গায় কিছুটা খর্বকায় লিয়ান্দ্রো মার্টিনেজ খেললেও চিন্তা যাবে না।
৪. স্পেন: গোলের পাওয়ার র্যাঙ্কিংয়ে চারে আছে স্পেন। একদম তরুণ একটা দল নিয়ে এগোচ্ছেন স্পেন কোচ লুইচ এনরিকে। যারা প্রাণের আনন্দে ফুটবল খেলেন। তাদের নির্দেশনা দিতে বুসকেটস-মোরাতোর চেয়ে অভিজ্ঞ কেউ নেই। বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে স্পেনের বড় বাধা জার্মানি। গ্রুপ রানার্স আপ হলে শেষ ষোলোর প্রতিপক্ষ হবে কঠিন।
৫. জার্মানি: শেষ আট ম্যাচে মাত্র দুই জয় জার্মানির। কিন্তু চারবারের চ্যাম্পিয়ন দলটাকে সমীহ করতেই হবে। দায়িত্ব নেওয়ার পরে হানসি ফ্লিক জার্মানির সেই ভয়হীন ফুটবল থিওরি ফিরিয়ে এনেছেন।
৬. ইংল্যান্ড: ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের ফেবারিট দল। যারা গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেছে। ইউরো ফাইনাল খেলেছে। তাদের ভয় কেবল চোকিংয়ে। সেপ্টেম্বরের নেশন্স কাপ যেমন ভালো যায়নি তাদের।
৭. নেদারল্যান্ডস: লুইস ভ্যান গাল দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৫ ম্যাচে অপরাজিত ডাচরা। তাদের আক্রমণে আগের মতো তারকা নেই। তবে রক্ষণ জমাট। তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে মন জয় করা ফুটবল দেখানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে যারা।
৮. বেলজিয়াম: র্যাঙ্কিংয়ে বেলজিয়াম দুইয়ে আছে। র্যাঙ্কিংয়ে বরাবরই রাজত্ব থাকে তাদের। বিশ্বকাপেও থাকে ফেবারিট। কিন্তু কোয়ার্টার কিংবা সেমিতে গিয়ে থামতে হয়। সোনালি প্রজন্মের বেলজিয়ামের জন্য কাতার তাই বিশ্বজয়ের সেরা সময়।
৯. ডেনমার্ক: গোলের পাওয়ার র্যাঙ্কিংয়ে বড় চমক ডেনমার্ক। গত ইউরোতে মন কেড়েছে তারা। নেশন্স লিগেও দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে। ফ্রান্সের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে। পাওয়ার র্যাঙ্কিংয়ে আছে নয়ে।
১০. পর্তুগাল: রোনালদো আছেন বলেই কি পর্তুগালকে পাওয়ার র্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশে রাখা হয়েছে? আগের র্যাঙ্কিংয়ে নয়ে ছিল দলটি। পর্তুগাল কোচের হাতে অসাধারণ একটা তরুণ দল আছে। রাফায়েল লিও, জোয়াও ফেলিক্স, ডিয়াগো জোটা, বেনার্ড সিলভা কিংবা রুবেন দিয়াজ, নুনো মেন্ডিম, জোয়াও ক্যানসেলোরা বড় যেকোন দলের জন্য হুমকি হতে পারেন।