সরকারি বিদ্যালয়ে কিন্ডারগার্টেন চালাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক
সরকারি বিদ্যালয় বা উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমানায় কিন্ডারগার্টেন চালানোর নিয়ম না থাকলেও নানা কৌশল ও গোপনীয়তা অবলম্বন করে ১৭ বছর ধরে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে কিন্ডারগার্টেন পরিচালনা করছেন প্রধান শিক্ষক।
ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনন্দ কুমার দাসের পরিচালনায় কয়েকজন সহকারী শিক্ষক মিলে ২০০৫ সালে বিদ্যালয়ের চত্বরে 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্কুল' কিন্ডারগার্টেন চালু করেন।
স্থানীয় ও স্কুল শিক্ষকদের বরাতে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি, এমপিওভুক্ত হয় ২০১০ সালে। ২০১৬ সালে এটির জাতীয়করণ হয়। সরকারি বেতনভুক্ত হওয়ার সত্ত্বেও কিন্ডাগার্টেন পরিচালনার মাধ্যমে বছরে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন কিন্ডারগার্টেন মালিক ও পরিচালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনন্দ কুমার দাস।
আরও পড়ুন: ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন গুচ্ছ ভর্তিচ্ছুরা।
বিদ্যালয় সীমানায় কিন্ডারগার্টেন চালানোর কথা স্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনন্দ কুমার দাস বলেন, হাইস্কুলটি সরকারি হওয়ার আগে থেকেই কিন্ডারগার্টেনটি ছিল তাই আর বন্ধ করা হয়নি। এছাড়া তিনি একা নন, আরও কয়েকজন শিক্ষক তার সঙ্গে মালিক হিসেবে আছেন বলেও জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই কিন্ডারগার্টেনে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৪৫ জন। বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যায় সব মিলিয়ে কিন্ডারগার্টেনটি থেকে বছরে আয় প্রায় ১৬ লাখ ২৯ হাজার টাকা। কিন্তু বিদ্যালয় পরিচালনায় যে টাকা আয় হয়, তার অল্পই ব্যয় কিন্ডারগার্টেন পরিচালনায়।
তবে বছরে লাখ লাখ টাকা আয় করার কথা অস্বীকার করে আনন্দ কুমার দাস বলেন, এত টাকা নেওয়া হয় না। তার মধ্যে সেখানে আলাদা করে আরও পাঁচজন শিক্ষক রাখা হয়েছে। তাদের বেতন দিতে হয়।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির মোল্লা বলেন, সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষকের কিন্ডারগার্টেন পরিচালনা করার বিষয়টি তাদের জানা ছিল না। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।