নববর্ষে চারশত শিক্ষার্থীর ১৫ কিলোমিটার সাইকেল র্যালি
সারাদেশে নানান আয়োজনে বর্ষবরণ করা হয়েছে। তবে ভিন্ন আয়োজনে নববর্ষের আনন্দ ভাগ করে নিয়েছে নড়াইলের প্রায় চারশত শিক্ষার্থী। নড়াইলে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত এই সাইকেল র্যালি ১১টি গ্রামে প্রদক্ষিণ করে আবহমান বাঙালির প্রাণের উৎসবে মেতেছিল। নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন করা হয়।
এদিন ভোর হতেই বৈশাখী সাঁজে ও স্কুল পোশাক পরিধান করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে জড়ো হন। গালে বৈশাখী আলপনা, কেউবা কৃষক, কেউবা শ্রমিকসহ নানান সাঁজে সেজেছিল শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও নববর্ষের আলপনায় সজ্জিত হয়েছিল।
নববর্ষকে স্বাগত জানাতে হাতে লেখা প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন, মাথায় ক্যাপ নিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকেই সাইকেল র্যালি শুরু হয়। নববর্ষের সাঁজে সজ্জিত তরুণীরা সাইকেল র্যালির শুরুর দিকে ছিলেন। এরপর স্কুল পোশাকে সজ্জিতদের বহর।
বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া র্যালিটি বাঁকলি, হাতিয়াড়া, গুয়াখোলা, মালিয়াট, কমলাপুর, রঘুরামপুর, দোগাজি, ঘোড়ানাছ, বেনাহাটি, বাকড়িসহ মোট ১১টি গ্রাম প্রদক্ষিণ করে। রাস্তার দুইপাশ জুড়ে অবস্থান করা লোকজন হাত নেড়ে নেড়ে সাইকেল র্যালিতে উৎসাহ দিয়ে নববর্ষকে স্বাগত জানায়।
আরও পড়ুন : বিদ্যালয়ে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রী উপস্থিতি বেড়েছে
বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী অঙ্কিতা ভৌমিক জানান, ‘পহেলা বৈশাখ বাঙালির জীবনে খুবই আনন্দের দিন। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ ছিল। এজন্য আমরা এক জায়গায় সমবেত হতে পারিনি। তবে আজ সবাই এক জায়গায় হয়েছি, একত্রে বর্ষবরণ উদযাপন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, প্রায় চারশত শিক্ষার্থী নিয়ে আমরা একাধারে ১১টি গ্রামে গিয়ে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। পায়ে হেঁটে এতগুলো গ্রাম প্রদক্ষিণ সম্ভব নয়, এজন্য সাইকেল র্যালির মতো ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেওয়া হয়।