২০০১-২০২১: কোন বছরে কত জিপিএ-৫?
গেল বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার বেড়েছে। এ বছর পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এর আগের বছর ছিল ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। অন্যদিকে ২০২১ সালের ফলে সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।
করোনাভাইরাস অতিমারীর মধ্যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হওয়া ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। এ বছরে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৫ জন।
আরও পড়ুন: জেএসসি-এসএসসিতে না থাকলেও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ ১৭ হাজার
পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে, যা উত্তীর্ণের মোট সংখ্যার ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন। এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৪৭ হাজার ৪৪২।
আরও পড়ুন: সাবজেক্ট পায়নি ডাবল জিপিএ-৫ পাওয়া ভর্তিচ্ছুরাও
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে ২০০১ সাল থেকে এসএসসি এবং ২০০৩ সাল থেকে এইচএসসিতে জিপিএ পদ্ধতি চালু হয়। ওই বছর এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশের মাধ্যমে সর্ব প্রথম গ্রেডিং পদ্ধতিতে রেজাল্ট প্রকাশ শুরু হয়। এতে সারাদেশে মাত্র ৭৬ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেন।
ধারাবাহিকভাবে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা প্রতিবছর বাড়তে শুরু করে। গত দুই দশকে এ সংখ্যাটা কয়েক হাজার গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। ২০০২ সালে ৩২৭, ০৩ সালে ১ হাজার ৩৮৯, ০৪ সালে ৮ হাজার ৫৯৭, ০৫ সালে ১৫ হাজার ৬৩১, ০৬ সালে ২৪ হাজার ৩৮৪, ০৭ সালে ২৫ হাজার ৭৩২, ০৮ সালে ৪১ হাজার ৯১৭ জন।
আরও পড়ুন: চার পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া নাইম লিখে গেলেন— আমি পারিনি, তাই ক্ষমাপ্রার্থী
এছাড়া ০৯ সালে ৪৫ হাজার ৯৩৪, ১০ সালে ৫২ হাজার ১৩৪, ১১ সালে ৬২ হাজার ২৮৮, ১২ সালে ৮২ হাজার ২১২, ১৩ সালে ৯১ হাজার ২২৬, ১৪ সালে ১ লাখ ৪২ হাজার ২৭৬, ১৫ সালে ১ লাখ ১১ হাজার ৯০১, ১৬ সালে ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬১, ১৭ সালে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১, ১৮ সালে ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯, ১৯ সালে ১ লাখ ০৫ হাজার ৫৯৪ জন পরীক্ষার্থী।
জিপিএ-৫ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যত গড়তে হলে জিপিএ-৫ এর উন্মাদনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। স্কুল-কলেজের শেষ পরীক্ষায় জিপিএ-৫ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে উন্মাদনা রয়েছে। যা শিক্ষার্থীদের জীবনে নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। শিক্ষার্থীরা যে যার মেধা অনুযায়ী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেবে এবং সে অনুযায়ী ফলাফল পাবে।